বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় এক নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ভিকটিম ওই নারীর ছেলে বন্ধুসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সীতাকুন্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের জলসা হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে তিনি জানান।
গ্রেফতার ৫ জন হলেন ভিকটিম নারীর ছেলে বন্ধু মো. নয়ন (২২), তার বন্ধু মোহাম্মদ আলীম হোসেন (২২) ও জামাল উল্লাহ মোহাম্মদ রিফাত (১৯) এবং জলসা হোটেলের ব্যবস্থাপক নুর উদ্দিন (৩৮) ও কর্মচারী মো. রারেক (২২)। গ্রেফতার ৫ জনের মধ্যে হোটের ব্যবস্থাপক নুর উদ্দিন ও কর্মচারী মো. বারেক ছাড়া বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী। অপর দুইজন তাদেরকে ধর্ষণ কাজে সহযোগিতা করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সুমন বণিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০ বছর বয়সী ওই নারীর সঙ্গে সম্প্রতি তার স্বামীর বিচ্ছেদ হয়। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর এক বিয়ের অনুষ্ঠানে নয়নের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। সেই বন্ধুত্বের সূত্র ধরেই গত শনিবার নয়নের সঙ্গে ওই নারী সীতাকুন্ডে বেড়াতে আসেন। সীতাকুন্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে ঘুরে রাতে তারা জলসা হোটেলে যান। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই দিন রাতে প্রথমে নয়ন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। এরপর সোমবার সকাল পর্যন্ত নয়নের মাধ্যমে তার আরও ৫জন বন্ধু ওই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর সোমবার সকালে তাদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে ওই নারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিম নারীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।’