বগুড়ায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে শহরে টেম্পল রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে তালা, বিক্ষোভ, পাল্টাপাল্টি হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালনের জন্য শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে শহরের টেম্পল রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। নেতাকর্মীরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তখন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের সমর্থকরা পাল্টা স্লোগান দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
তবে পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে খোকন পার্কে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যান। এ সময় দুই পক্ষের মিছিল ও পাল্টা মিছিলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, বিজয় দিবসের কর্মসূচি শেষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তালা ভেঙে ৩৯ দিন পর টেম্পল রোডের জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন সভাপতি সজীব ও সাধারণ সম্পাদক জয় এবং তাদের অনুসারীরা। পদবঞ্চিতরা গত ৭ নভেম্বর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীব সাহা বলেন, ‘কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ায় যুবলীগের একাংশের সঙ্গে আমাদের সমর্থকদের সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এরপর তালা ভেঙে ছাত্রলীগ কার্যালয়ে প্রবেশ করেছি আমরা।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচিতে জেলা যুবলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়েছেন। ফলে তাদের সঙ্গে আমাদের নেতাকর্মীদের হাতাহাতি হয়েছে। তবে আমরা সেখানে উপস্থিত থাকতে পদবঞ্চিতদের সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়নি।’
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। তবে হাতাহাতির কোনও ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।’
Leave a Reply