সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন

রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের!!

bornomalanews
  • Update Time : রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৯ Time View

নির্বাচনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সুপারিশ তুলে ধরেছেন সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট আইনজীবীরা। জাতীয় সংসদ ভবনে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তারা এসব প্রস্তাব পেশ করেন।

প্রস্তাবনা

মতবিনিময় সভায় তুলে ধরা প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল:

  1. স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শর্ত সহজীকরণ: সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনের শর্ত বাতিল করা।
  2. দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ: দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বন্ধ করা।
  3. সংসদ সদস্যদের বিশেষ সুবিধা বাতিল: সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা এবং বেতন বন্ধ করা।

অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা

সভায় আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর নুরুল হুদা চৌধুরী, এ এস এম খালেকুজ্জামান, মেজর (অব.) মো. ইমরান, মেজর (অব.) মো. আতিকুর রহমান, মেজর (অব.) আহমদ কবির বিশ্বাস, মেজর (অব.) হারুন অর রশিদ, মেজর (অব.) শরিফ আহমেদ, মেজর (অব.) নিয়াজ আহমেদ জাবের, মেজর (অব.) আমান আহমেদ আনসারী, মেজর (অব.) মো. জিয়াউল আহসান, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান। আইনজীবী আজমল হোসেন ও মজিবুর রহমানও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

কমিশনের প্রতিক্রিয়া

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার প্রস্তাবগুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আমরা অংশগ্রহণকারীদের মতামত পর্যালোচনা করব। প্রস্তাবগুলো নির্বাচনব্যবস্থাকে আরও অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজে লাগানো হবে।”

কমিশনের অন্যান্য সদস্য, যেমন জেসমিন টুলী, আব্দুল আলীম, নাদিয়া নিভিন এবং সাদিক আল আরমানও মতবিনিময়ে অংশ নেন।

প্রস্তাবের পটভূমি

সভায় বক্তারা নির্বাচনব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তাদের মতে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনের শর্ত একটি বড় বাধা, যা বাতিল করা জরুরি। একইসঙ্গে দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তারা জাতীয় স্বার্থের কথা উল্লেখ করেন।

সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি ও বেতন বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়ে বক্তারা বলেন, “জনগণের করের টাকায় এ ধরনের সুবিধা গ্রহণ সুশাসনের পথে বড় বাধা। এটি সংস্কার করা হলে জনগণের আস্থা বাড়বে।”

পরবর্তী পদক্ষেপ

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এসব প্রস্তাব মূল্যায়ন করে একটি সুপারিশমালা প্রস্তুত করবে। সংশোধিত সুপারিশ গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও মজবুত করতে এবং নির্বাচনব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সভায় উপস্থিত সবাই একমত হন যে, নির্বাচনব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 bornomalanews24.com
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102