বাংলাদেশ ব্যাংক ষষ্ঠ দফায় আরও চার কোটি ৭৫ লাখ ডলার কিনেছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এ দফায় আটটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১.৭০ টাকা থেকে ১২১.৭৫ টাকা দরে ডলার কেনা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, ডলার কেনার উদ্দেশ্য বাজার স্থিতিশীল রাখা। বর্তমানে বাজারে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে, বাজার থেকে ডলার কেনা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ষষ্ঠ দফার ডলার কেনার উদ্যোগ, এর আগেও তারা পাঁচ দফায় ডলার কিনেছিল। প্রথমবার ১৩ জুলাই, ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, পরবর্তী ১৫ জুলাই ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১ কোটি ডলার, ৭ আগস্ট ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ১০ আগস্ট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ডলারের দাম অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করলে তা আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা অর্থনীতিতে ক্ষতি করতে পারে। তবে বর্তমানে দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে এবং বিদেশি দায় পরিশোধও সঠিকভাবে হচ্ছে। এতে আগামীতে ডলারের চাহিদা তীব্র হবে না। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের অতিরিক্ত ডলার বিক্রি করছে, ফলে বাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাজার থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে একদিকে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বাড়ছে। বর্তমানে দেশের মোট রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের বেশি, এবং নতুন ডলারের সঞ্চয় তা আরও সমৃদ্ধ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে বিনিয়োগ কিছুটা কমে গেছে, ফলে বাড়তি মূলধনী যন্ত্র এবং কাঁচামালের আমদানি কম হচ্ছে। তবে আগামী বছর নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করলে নতুন বিনিয়োগ শুরু হবে এবং তাতে বাড়তি ডলার প্রয়োজন হবে। এই বাড়তি রিজার্ভ ভবিষ্যতে নতুন বিনিয়োগের সহায়ক হবে।