আজ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : বিকাল ৫:০১

বার : শনিবার

ঋতু : গ্রীষ্মকাল

অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলেন তারেক রহমান

অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলেন তারেক রহমান


তারেক রহমান

তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিনিধি

ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এক ভিডিও ভাষণে তিনি দেশের সাধারণ মানুষ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করে রাখা সরকারকে সহযোগিতা থেকে বিরত থাকার জন্য।

বুধবার (২০শে জুলাই) বিএনপি’র অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে তাঁর এই বক্তব্য প্রচার করা হয়। তাঁর বক্তব্যটি হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে তুলে ধরা হল-

প্রায় সাড়ে ১৩ মিনিটের ভাষণে তারেক রহমান বলেন, যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কবলে আজ। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার – মুক্তিযুদ্ধের এইসব মূলমন্ত্র হারিয়ে দেশে এখন সর্বত্রই পাহাড় সমান বৈষম্য, অমানবিকতা, অবিচার, অনাচার। একজন মাত্র ব্যক্তির অবৈধ ক্ষমতার লালসা মেটাতে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ধ্বংসপ্রায়। সামাজিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটেছে। দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চরিত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এবার সর্বশেষে পরিকল্পিতভাবে বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে বিনা ভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে দুর্নীতিগ্রস্থ বণিক, আমলা, পুলিশ এবং ক্ষমতাসীনদের সন্ত্রাসীদের নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে একটি মাফিয়া চক্র। এই মাফিয়া চক্র দেশে এখন দুর্নীতি আর লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। দুর্নীতিবাজ লুটেরা চক্রকে প্রতিহত করে জনগণের রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করার এখনই সময়।

প্রিয় দেশবাসী, মাফিয়া সরকারের দুর্নীতি, অনাচারের কারণে দেশে বর্তমানে কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, স্বল্পআয়ের মানুষ লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। দুর্নীতিবাজদের উল্লাস নৃত্যের আড়ালে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তসহ সকল মজলুমের হাহাকার-আর্তনাদ।

দেশের কৃষকগণ তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। অথচ প্রতিদিন বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। মানুষ চাল কিনলে ডাল, আর ডাল কিনলে চাল কেনার টাকা থাকে না। ডিম কিনলে পেঁয়াজ, আবার পেঁয়াজ কিনলে কাঁচামরিচ কেনার টাকা শেষ। এভাবে দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠীকে অর্ধাহারে, অনাহারে রেখে উন্নয়নের নামে চলছে বল্গাহীন দুর্নীতি। তাই আপামর জনগণের স্বার্থবিরোধী এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে প্রতিহত করে শ্রমজীবী, কর্মজীবী মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠার এখনই চূড়ান্ত সময়।

প্রিয় দেশবাসী, পুঁজিবাজার, ব্যাংক, বিমাসহ দেশের অর্থকরী সকল প্রতিষ্ঠান প্রায় দেউলিয়া। ডলারের অভাবে এলসি খোলা যাচ্ছে না। ডলারের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়তে যেতে পারছে না। দেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। অপরদিকে খেলাপি কিংবা মন্দ ঋণের কবলে পড়ে দেশের ব্যাংকগুলো বন্ধ হবার উপক্রম। লক্ষ-লক্ষ্য প্রবাসীরা পরিশ্রম করে দেশে কোটি-কোটি ডলার পাঠান, আর আওয়ামী দুর্নীতিবাজরা সেইসব বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার করে দেয়।

ফ্যাসিস্ট হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় গত এক যুগে দেশ থেকে পাচার করে দেওয়া হয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। আওয়ামী দুর্নীতিবাজ চক্র দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে কানাডায় গড়ে তুলেছে বেগম পাড়া, কানাডায় সেকেন্ড হোম। ইউরোপ, আমেরিকা, মালয়েশিয়া, দুবাইয়ে গড়ে তুলেছে বিলাসবহুল গাড়ী-বাড়ী নিরাপদ আশ্রয়স্থল। টাকা পাচারকারীদের কবল থেকে দেশকে উদ্ধার করে দেশের ব্যাংক-বিমা সহ দেশের অর্থকরী প্রতিষ্ঠান নিরাপদ করার এখনই সময়।

প্রিয় দেশবাসী, ফ্যাসিস্ট হাসিনার অপকর্মের বিরুদ্ধে যাতে কেউ প্রতিবাদ করতে না পারে এজন্য বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে সীমাহীন অত্যাচার-মিথ্যাচার। বছরের পর বছর ধরে একদিকে খুন, গুম অপহরণ, অপরদিকে গুপ্তহত্যা চলছে। অপরদিকে লক্ষ-লক্ষ মিথ্যা মামলা দিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকার। গত ১৫ বছরে শুধুমাত্র সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় লক্ষ রাজনৈতিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় প্রায় ৫০ লক্ষ নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ৩ হাজার মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার। সাতশ’রও বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছে। খুন করা হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে ভিন্ন মত ও দলের মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা। জনগণের জন্য একটি নিরাপদ, মানবিক বাংলাদেশ গড়তে ক্ষমতালোভী, রক্তপিপাসু, ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার এখনই সময়।

প্রিয় দেশবাসী, দুদক এখন ক্ষমতাসীন দলের, দুর্নীতিবাজদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বিডিআর-পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে যেভাবে সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে, একইভাবে একজন প্রধান বিচারপতিকে অস্ত্রের মুখে দেশ থেকে বের করে দেবার পর সম্পূর্ণভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কবর রচিত হয়েছে। এরপর আর কোনো রাকঢাক না রেখেই বিচারবিভাগ এখন প্রকাশ্যেই ফ্যাসিবাদের দোসর। ক্ষমতাসীনদের অপকর্মের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার বৈধ হাতিয়ার ছিলো জনগণের ভোটের অধিকার। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে জনগণের সেই ভোটের অধিকারকেও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

প্রিয় দেশবাসী, আবারও ঘনিয়ে এসেছে জাতীয় নির্বাচন। বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তি এবং দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রত্যাশা ছিলো বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে জনগণের প্রত্যাশিত একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। অথচ ফ্যাসিস্ট হাসিনা জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচনের পরিবর্তে ডামি রাজনৈতিক দল দিয়ে ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে। চিহ্নিত ভোটডাকাত হাসিনা এই ডামি নির্বাচনে বানরের পিঠা ভাগের মতো নিজেদের মধ্যে সংসদের আসন ভাগাভাগি করেছে।

এখন বানর খেলার আসরের মতো লোক জমানোর জন্য রাষ্ট্রের প্রায় দুই হাজার কোটি প্রস্তুত করে নিজ দলেরই একজনের বিরুদ্ধে আরেকজনকে প্রস্তুত করে ডামি নিয়ে নির্বাচনী আমেজ তৈরীর অপচেষ্টা চলছে।

সুতরাং, ডামি নির্বাচন প্রতিহত করে ১২ কোটি ভোটারের লুণ্ঠিত ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার এখনই সময়।

প্রিয় দেশবাসী, ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের নির্বাচন সরাসরি সংবিধানের ৬৫/২/১১/৭ এর ক এবং ১৪৮ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সুতরাং, ফ্যাসিস্ট হাসিনার বর্তমান সরকার সম্পূর্ণভাবে অবৈধ, অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক। এই অবৈধ সরকারের কোনো আদেশই প্রশাসন মানতে বাধ্য নয়। একইভাবে জনগণও ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ সরকারকে সহযোগিতা করতে বাধ্য নয়। এমনকি অবৈধ এই গণবিরোধী সরকারকে জনগণ ট্যাক্স দিতেও বাধ্য নয়।

গণতন্ত্রকামী প্রিয় ভাই ও বোনেরা, প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আজ থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ সরকারকে সব ধরনের অসহযোগিতা শুরু করার বিকল্প নেই। জনগণের ভোটে একটি অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক তথা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি এই মুহূর্ত থেকে বর্তমান অবৈধ সরকারকে আর কোনো রকমের সহযোগিতা না করার জন্য প্রশাসনসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।

প্রিয় দেশবাসী, আপনারা আগামী ৭ই জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করুন। নির্বাচনের নামে ৭ই জানুয়ারির বানর খেলার আসরে অংশ নেবেন না। আপনারা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। এটি আপনার-আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।

নির্বাচন কমিশন ৭ই জানুয়ারি কাকে এমপি ঘোষণা করবে গণভবনে সেই তালিকা তৈরী হয়ে গিয়েছে। সুতরাং, ৭ই জানুয়ারি ডামি নির্বাচনে ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকুন। বর্তমান অবৈধ সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স-খাজনা ইউটিলিটি বিল এবং অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন। ব্যাংকগুলো এই অবৈধ সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম। সুতরাং, জনগণ ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না সেটি ভাবুন। মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় অভিযুক্ত লক্ষ-লক্ষ রাজনৈতিক নেতাকর্মী আপনারা আজ থেকে আদালতের মামলায় হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ, আপনাদের প্রতি সুবিচার করার আদালতের স্বাধীনতা ফ্যাসিস্ট সরকার কেড়ে নিয়েছে।

প্রিয় দেশবাসী, দেশের কারাগারগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড়। সুতরাং, কাউকে আর কারাগারের ভয় দেখিয়ে কিংবা কারাগারকে ভয় পেয়েও লাভ নেই। ফ্যাসিস্ট হাসিনার লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীরা যদি গণতন্ত্রের পক্ষের একজন রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থককেও হয়রানি করে তাহলে দলীয় পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ঐক্যবদ্ধভাবে এই অবৈধ সরকারকে অসহযোগিতা অব্যাহত রাখলে এরা আর কাউকে গ্রেফতার, নির্যাতন হয়রানি করার সাহস পাবে না। দেশে আজ জনগণের অধিকার নেই বলেই জনগণের লুণ্ঠিত অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আজ থেকে সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হলো। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। গণআন্দোলনের মাধ্যমেই পুন:প্রতিষ্ঠিত হবে গণমানুষের অধিকার।

প্রিয় দেশবাসী, বিএনপিসহ দেশের সকল গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে আমি আপনাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতে চাই এই অবৈধ সরকারকে অসহযোগিতা করতে গিয়ে প্রশাসন কিংবা দেশপ্রেমী জনগণ যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন পরবর্তী গণতান্ত্রিক সরকার অবশ্যই সকল ক্ষতিগ্রস্তদেরকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আপনাদের ত্যাগের প্রতি সুবিচার করবে।

একইসঙ্গে আমি আরও বলতে চাই, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং লুণ্ঠিত ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের যারাই হতাহত হয়েছেন ভবিষ্যত গণতান্ত্রিক সরকার তাদেরও অবদান দলীয় এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করবে।

প্রিয় দেশবাসী, ১৯৭১ সালে আমরা লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। আর আজকের আন্দোলন দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন। চলমান এই আন্দোলনকে চূড়ান্ত সফলতায় পৌঁছাতে দলীয় পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষের প্রতি আহ্বান।

অবৈধ সরকারকে অসহযোগিতা শুরু করুন। অপরকে অসহযোগিতা করতে উদ্বুদ্ধ করুন। এই আন্দোলনে বিজয় লাভ করেই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ হাফেজ।

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জিন্দাবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category