সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
“বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তির তালিকায় ৫০তম স্থানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস” হাসিনাসহ ২৬১ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইকোর্টে রিট: রক্ষণাবেক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টাকে শাহবাজ শরিফের পাকিস্তান সফরে আমন্ত্রণ বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: ফরেনসিক তদন্তে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, দেশজুড়ে আগুন-নিরাপত্তা সপ্তাহ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদল! দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ড: তদন্তে কোর কমিটি গঠন! কী আছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়? এইচএসসি ফলাফলে বিস্মিত সবাই, শিক্ষার প্রকৃত সংকটে দায় এড়াতে পারে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

শরীরে যা ঘটে সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম পানি পান করলে

bornomalanews
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৩১ Time View

পানির অপর নাম জীবন। পানি শরীরকে হাইড্রেট রাখে। এছাড়া নানা রোগ থেকেও রক্ষা করে। তাই প্রত্যেকেরই প্রতিদিন নিয়মিত ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, পানি পান করে দিন শুরু করলে অনেক ধরনের রোগ দূরে থাকে। বিজ্ঞানও এর সঙ্গে একমত, সারারাত যেহেতু পানি পান করা হয় না তাই দীর্ঘসময় পানি পান না করায় শরীরে পানির ঘাটতি হয়। এ কারণে সবারই উচিত সকালে ঘুম থেকে উঠেই পানি পান করা।

তবে এক্ষেত্রে ঠান্ডা নাকি গরম পানি পান করা উচিত, তা কি জানেন? গরম পানি পরিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় করে ও অন্ত্রে জমে থাকা ময়লা তথা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

গরম পানি পান করলে মেটাবলিজমও বাড়ে। শরীরে জমে থাকা চর্বি দ্রুত বার্ন হয়। ভোরে হালকা পানি পান করলে তা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যখন তৃষ্ণা পাবে তখনই হালকা গরম পানি পান করলে এক বছরের কম সময়ের মধ্যে ১২ কেজি পর্যন্ত ওজন ঝরে যায়। তাই পানি পান করে ওজন কমাতে চাইলে তৃষ্ণা পেলে পান করতে হবে হালকা গরম পানি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোরে শুধু গরম পানি পান করা উচিত, কারণ ঠান্ডা পানি পাচনতন্ত্রকে সংকুচিত করতে পারে। ফলে নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এতে বদহজম, গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে পারে।ঠান্ডা পানি পান করলে রক্তনালীর সংকোচন ঘটতে পারে, যে কারণে রক্ত চলাচল ধীর হয়ে যায় এবং শরীর সঠিক সময়ে পুষ্টি পায় না। এ ছাড়া ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়, যে কারণে শরীর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরে আসতে বেশি শক্তি ব্যয় করে ও ক্লান্ত বোধ হয়।

আমাদের শরীরে ঠান্ডা ও গরম দুই ধরনের পানির আছে আলাদা প্রভাব। গরমের সময়ে অনেকেই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি অনেকখানি পান করে ফেলেন। এটি শরীরের জন্য উপকারের বদলে ক্ষতি করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব বেশি ঠান্ডা পানি পান করলে তা হজম শক্তি কমিয়ে দেয়। বদহজমের কারণে শরীরে মেদ জমতে থাকে দ্রুত। তাই সব সময় চেষ্টা করুন স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করতে। আর ওজন কমানোর চেষ্টা করলে অবশ্যই হালকা গরম পানি।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, খাওয়ার সময় ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করলে খাবারে থাকা চর্বি পেটে গিয়ে কঠিন আকার ধারণ করে। যে কারণে দ্রুত জমা হতে থাকে চর্বি।অন্যদিকে আয়ুর্বেদ মতে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস গরম পানি পান করলে বাত, পিত্ত ও কফ এই তিনটি দোষই শরীরে ভারসাম্য বজায় রাখে।

অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, এটি ৫৬ ধরনের রোগকে দূরে রাখতে পারে। এতে করে হজমের সমস্যা হবে না, স্থূলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ঠান্ডা ও ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো যায়।

সূত্র: এবিপি লাইভ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102