বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে এবারও উন্মুক্ত স্থানে কোনো কনসার্ট কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে না। তবে তারকা হোটেলগুলো প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আয়োজন করছে নানা উৎসব।
উন্মুক্ত স্থানে নিষেধাজ্ঞা, নিরাপত্তায় কড়াকড়ি
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, সৈকতে কনসার্ট, আতশবাজি বা পটকা ফুটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কক্সবাজারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সৈকতে প্রবেশের আগে পর্যটকদের তল্লাশি করা হবে এবং উচ্ছৃঙ্খল আচরণ রোধে বিশেষ প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
তারকা হোটেলগুলোর জমকালো আয়োজন
উন্মুক্ত স্থানে আয়োজন না থাকলেও তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি ফার্স্ট নাইটের উৎসবে থাকবে ভিন্নমাত্রা।
পর্যটকের ঢল ও হোটেলগুলোতে চাপ
কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউসের কোনো কক্ষই খালি নেই। দৈনিক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়ে পর্যটকরা এখন কক্ষে গাদাগাদি করে থাকছেন।
উন্মুক্ত সৈকতে কোনো আয়োজন না থাকলেও তারকা হোটেলগুলোর জমকালো উৎসব এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কঠোর ব্যবস্থাপনা কক্সবাজারের থার্টি ফার্স্ট নাইটকে আনন্দমুখর রাখতে ভূমিকা রাখবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপস্থিতিতে কক্সবাজারের এই উৎসব বিশ্বদরবারে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী স্থানীয় উদ্যোক্তারা।