শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
থমথমে গোপালগঞ্জে আতঙ্ক! অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণার ইচ্ছা নেই সরকারের জুলাই কন্যা দিবসে শারমীন এস মুরশিদের শক্তিশালী বার্তা: “অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবারই ধেয়ে আসবে জুলাইয়ের কন্যারা” মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে  গ্রেপ্তার ও তদন্তের বিস্তারিত মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে তারেক রহমানের অভিযোগ ও আহ্বান টানা বৃষ্টিতে সারা দেশে বিপর্যস্ত জনজীবন : ফের ভয়ংকর রূপে বন্যা সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ: ডিএমপি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সচিব অধ্যাপক হালুক গরগুনের ঢাকা সফর: প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা: জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীর ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় মূল হোতা গ্রেফতার

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

bornomalanews
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১২১ Time View

দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির একটি আদালত। আজ মঙ্গলবার সিউল ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট আদালত এই পরোয়ানা জারির আবেদন অনুমোদন করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত কার্যালয় (সিআইও)।

ইউন সুক-ইওল সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। গত ৩ ডিসেম্বর তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন। তবে জনগণের তীব্র প্রতিবাদের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে তিনি তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। এই ঘটনায় জনমনে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিলে ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে তাঁকে অভিশংসিত করা হয় এবং প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

অভিশংসনের পর তাঁর ভবিষ্যৎ এখন পুরোপুরি সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। আদালত যদি তাঁর অভিশংসন বহাল রাখে, তাহলে ইউন সুক-ইওল চূড়ান্তভাবে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারিত হবেন।

ইতিহাসে প্রথমবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো। সিআইও-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউনের বাসভবনে তল্লাশির জন্যও আদালত পরোয়ানা অনুমোদন করেছেন। তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কখন বা কীভাবে কার্যকর করা হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

আদালত ও তদন্তকারীদের প্রতিক্রিয়া

আদালত কী যুক্তিতে এই পরোয়ানা জারি করেছেন, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সিআইও বা আদালত। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি বিবেচনা করবে।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির ভারপ্রাপ্ত নেতা কেওন সিওং-ডং বলেছেন, “একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টকে আটক করার চেষ্টা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।” অন্যদিকে, ইউনের সামরিক আইন জারির ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদ্রোহ-সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কোনো দায়মুক্তি ভোগ করেন না।

সামনের দিনগুলো

ইউনের বিরুদ্ধে পরোয়ানার এই ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও অভিশংসন প্রক্রিয়া দেশটির রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। তদন্ত এবং আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে এখন পুরো দেশের নজর।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102