অবশেষে ব্রিটিশ সিটি মন্ত্রী এবং আর্থিক খাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মুখ্য দায়িত্বে থাকা এমপি টিউলিপ সিদ্দিক নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর নীতিশাস্ত্র উপদেষ্টার কাছে সমর্পণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে লন্ডনে সম্পত্তি ব্যবহারের ঘিরে ওঠা জটিল অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সোমবার ডাউনিং স্ট্রিট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, যা প্রকাশ করেছে দ্য টেলিগ্রাফ।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে ওঠা সম্পত্তি ব্যবহারের অভিযোগকে মোকাবিলা করতে স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রীদের স্বার্থ সম্পর্কিত স্বাধীন উপদেষ্টার কাছে নিজেকে রেফার করেছেন।
এই সপ্তাহে টিউলিপের চীনে সরকারি ট্রেজারি প্রতিনিধি দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নীতিশাস্ত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এই বিতর্কের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাকে যুক্তরাজ্যে থাকতে বাধ্য হতে হচ্ছে। অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই এবং প্রধানমন্ত্রীর কোড কার্যকর করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত স্যার লরি ম্যাগনাস এখন টিউলিপের দুটি লন্ডনের ফ্ল্যাট ব্যবহারের দাবিগুলো তদন্ত করবেন।
তবে, এই পরিস্থিতির পরও টিউলিপ সিদ্দিক তার অবস্থানে অটল। তিনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি।’ এ নিয়ে স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমি গণমাধ্যমের শিরোনামে রয়েছি। কিন্তু আমার আর্থিক বিষয় এবং আমার পরিবারের সঙ্গে আগের সরকারের সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশিত তথ্যগুলোর অধিকাংশই মিথ্যা। আমি স্পষ্ট করে বলছি, আমি কোনো ভুল করিনি। তবুও, সব সন্দেহ দূর করার জন্য আমি চাই যে আপনি স্বাধীনভাবে এ বিষয়ে তদন্ত করুন।”
এদিকে, টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও ঘনীভূত হয়েছে। টোরি এমপিরা দাবি করেছেন, তার পরিবার কীভাবে সেন্ট্রাল লন্ডনের ওই অ্যাপার্টমেন্টটি অধিগ্রহণ করেছে, তা খতিয়ে দেখা হোক। একই সঙ্গে তারা টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগও দাবি করেছেন।
ব্রিটিশ রাজনীতির জটিল এই প্রেক্ষাপটে টিউলিপের আত্মসমর্পণ যেমন আলোড়ন তুলেছে, তেমনি প্রশ্নের মুখে ফেলেছে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত।