ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে এবং এভাবে টুর্নামেন্টের শেষ চারের দুটি লড়াই মাঠে গড়াবে—অথচ দুটি ভিন্ন দেশে। বি গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে ওঠা অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা এখন একটি বিশাল সমস্যার সম্মুখীন। সময়ের সঙ্কটের কারণে, কিছুই ঠিকঠাকভাবে চললে তারা অনুশীলনের জন্য যথেষ্ট সময়ও পাবে না। এ নিয়ে তৈরি হওয়া শঙ্কা এড়াতে, এই দুই দলই শনিবার পাকিস্তান থেকে উড়ে যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (দুবাই), যেখানে তাদের প্রস্তুতি সুনিশ্চিত করা হবে।
আইসিসির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “দুবাইয়ে ৪ মার্চের সেমিফাইনালে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর যথাযথ প্রস্তুতির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” কিন্তু এই পরিকল্পনার ফলে একটি দল এমন পরিস্থিতিতে পড়বে, যেখানে তারা পাকিস্তান থেকে দুবাই যাবে এবং পরদিন আবার পাকিস্তানে ফিরে আসবে, কারণ লাহোরে সেমিফাইনাল ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। লাহোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায়, তারা নিশ্চিতভাবেই সেমিফাইনালে উঠেছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা করাচি থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে উড়াল দিবে। কিন্তু সেমিফাইনালের স্থান এবং সময় আসলে নির্ধারিত হবে রোববার ভারতের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের শেষ গ্রুপ ম্যাচের পর। একটিই নিশ্চিত—ভারত অবশ্যই দুবাইয়ে খেলবে, তাদের গ্রুপের অবস্থান যাই হোক না কেন। এরপরই বি গ্রুপের দুই দলের ম্যাচের স্থান চূড়ান্ত হবে।
এই পরিস্থিতির সৃষ্টি অবশ্য নতুন কিছু নয়। প্রত্যাশিত ছিল, কারণ ভারত তাদের সব ম্যাচ পাকিস্তানের বাইরে খেলবে, যা পাকিস্তানের একক আয়োজনে হওয়া সত্ত্বেও একটি তীব্র রাজনৈতিক জটিলতা। পাকিস্তান, যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক, কিন্তু ভারতকে পাকিস্তানে খেলার জন্য রাজি করাতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে, পাকিস্তান ভারতকে লাহোরে খেলানোর প্রস্তাবও দিয়েছিল, কিন্তু বিসিসিআই জানায়, “ভারত সরকার পাকিস্তানে দলের সফরের অনুমতি দেয়নি।” এই জটিলতা কেবল রাজনৈতিক কারণেই হয়েছিল।
এখন, ভেন্যু নিয়ে অনিশ্চয়তা শেষ পর্যন্ত ফাইনাল পর্যন্ত গড়াবে। যদি ভারত সেমিফাইনাল জেতে, তবে ফাইনাল হবে দুবাইয়ে। কিন্তু যদি ভারত হেরে যায়, তবে ফাইনালটি হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এবং এই অনিশ্চয়তার মধ্যে, ফাইনালের আগেও অন্য ম্যাচের জয়ী দল নিশ্চিত না হতে পারে, আগের মতোই পুরো পরিস্থিতি ভাসমান এবং জটিল।