সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ড: তদন্তে কোর কমিটি গঠন! কী আছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়? এইচএসসি ফলাফলে বিস্মিত সবাই, শিক্ষার প্রকৃত সংকটে দায় এড়াতে পারে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়: শিক্ষা উপদেষ্টা মিরপুর অগ্নিকাণ্ড: শনাক্ত সাতজনের মরদেহ নিয়ে স্বজনদের দাবি এনসিপি প্রতীক বাছাই না করলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি :কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্ক হয়ে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম শাপলা প্রতীক না পেলে নিবন্ধন নয়, নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি! ‘সেফ এক্সিট’ ইস্যুতে পরিষ্কার বক্তব্য চাইলেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক: গবাদিপশু ও মানুষের মধ্যে সংক্রমণ, সতর্কতা জরুরি!! ইউনূসের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ়: প্রেস সচিব

প্রথম রোজায় সক্রিয় খুচরা ফল বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট!!

bornomalanews
  • Update Time : রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫
  • ১৪৪ Time View

প্রথম রোজায় রাজধানীজুড়ে এক অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে খুচরা ফল বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট। পাইকারি আড়ত থেকে কম দামে কেনা ফল খুচরা বাজারে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে, যা নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির নাগালের বাইরে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তদারকির অভাবে এমন অনিয়মের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে অনেক পরিবার এবার ইফতারে ফল কেনার সাধ্যও পাচ্ছে না। একেবারে প্রয়োজনীয় ফল কিনতে গিয়ে তারা কিছু আপেল বা কমলা ওজন দিয়ে কিনছেন, আর দামটা যাতে সামলাতে হয়, তা-ও মেনে নিতে হচ্ছে।

রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাদামতলীর পাইকারি আড়ত থেকে জানা গেছে, আপেলের কেজি পাইকারি মূল্য ২৮০-২৯০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে তা ৩৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কালো আঙুরের কেজি পাইকারি ৩৪০ টাকা, তবে খুচরায় ৪৫০-৪৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমলা, খেজুর, ম্যাডজুল, মরিয়ম খেজুর—প্রত্যেকটির দাম পাইকারিতে যে পরিমাণ, তা খুচরা বাজারে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।

নয়াপল্টনের এক ফল ক্রেতা, জাহিদুল ইসলাম, যুগান্তরকে জানান, “এক সময় সপ্তাহে দুই দিন পরিবারের জন্য ফল কিনে বাড়ি ফিরতাম। কিন্তু এখন দাম এতই বেশি যে, আর কেনা হয় না।” তিনি বলেন, “রোজায় ফল কিনতে এসে দেখি, দাম আকাশছোঁয়া।” রামপুরা কাঁচাবাজারের এক ক্রেতা নাজমুল বললেন, “প্রতিকেজি আপেল ৩৬০ টাকা চাচ্ছে, যা আমার পুরো বাজেট শেষ করে দিচ্ছে। তাই দুটি আপেল, দুটি কমলা, দুটো মাল্টা কিনেছি।”

এদিকে, রামপুরা বাজারের এক ফল বিক্রেতা, ইসমাইল, জানান, “ফলের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার, আর তাই দাম বাড়তে হয়েছে।” তবে খুচরায় দ্বিগুণ দামে বিক্রির বিষয়ে তার বক্তব্য ছিল, “রমজান মাসে কিছু লাভ করতে হয়, কারণ এই সময়টাতে ফলের বিক্রি বেশি।” বাদামতলীর আড়তদার জালাল উদ্দিন আরও বলেন, “সরকার ভ্যাট বাড়ানোর কারণে দাম বেড়েছে। কিন্তু খুচরায় যেভাবে দাম বেড়েছে, তাতে কারসাজির গন্ধ আছে। তদারকি বাড়াতে হবে।”

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, যুগান্তরকে বলেন, “ফল বিক্রির বাজার ইতোমধ্যে অতিরিক্ত দামে ছেয়ে গেছে। যদি খুচরা বিক্রেতারা কারসাজি করতে শুরু করে, তবে ক্রেতাদের জন্য ফল কেনা আরও কঠিন হয়ে যাবে।”

বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, আব্দুল জব্বার মন্ডল, জানিয়েছেন, “আমাদের মহাপরিচালকের নির্দেশে নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে, এবং ফলের বাজারেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। যদি কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আর কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

এদিকে, বাজারে ফলের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সিন্ডিকেটের কারসাজি যেন এক অস্বস্তিকর বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি ক্রেতাদের জন্য এক কঠিন সময়, যেখান থেকে রেহাই পেতে প্রয়োজন ব্যাপক তদারকি এবং কঠোর ব্যবস্থা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102