শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
থমথমে গোপালগঞ্জে আতঙ্ক! অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণার ইচ্ছা নেই সরকারের জুলাই কন্যা দিবসে শারমীন এস মুরশিদের শক্তিশালী বার্তা: “অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবারই ধেয়ে আসবে জুলাইয়ের কন্যারা” মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে  গ্রেপ্তার ও তদন্তের বিস্তারিত মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে তারেক রহমানের অভিযোগ ও আহ্বান টানা বৃষ্টিতে সারা দেশে বিপর্যস্ত জনজীবন : ফের ভয়ংকর রূপে বন্যা সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ: ডিএমপি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সচিব অধ্যাপক হালুক গরগুনের ঢাকা সফর: প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা: জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীর ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় মূল হোতা গ্রেফতার

ঢাবির ১২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার হামলায় জড়িত অভিযোগে

bornomalanews
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫
  • ১০৫ Time View

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের এক বিস্ফোরক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়, এবং সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা, যাদের অধিকাংশই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে আসেনি এখনও।

ঢাবির প্রক্টর, সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এ বিষয়ে কথা বলার সময় জানান, “১২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে, এবং এই ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।” সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস ইসলাম এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন, আর তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তদন্ত প্রক্রিয়া যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে কঠোর পদক্ষেপের প্রস্তুতি চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেছেন। অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলাম প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেছেন। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, শুধু বর্তমান শিক্ষার্থীরা নয়, বহু সাবেক শিক্ষার্থীও হামলায় জড়িত ছিলেন। এই অপরাধের মাত্রা এতটাই গুরুতর যে, প্রতিবেদন অনুযায়ী তাদের একাডেমিক সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১৫ জুলাইয়ের হামলা ছিল এক নৃশংস ও ভয়াবহ ঘটনা। সবচেয়ে শোচনীয় ছিল নারীদের ওপর হামলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে আহত শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ। হামলাকারীরা কেবল বাহ্যিক আক্রমণেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি করেছিল, যা একেবারে অমানবিক ও অপ্রত্যাশিত ছিল।

এভাবে, ঢাবির ইতিহাসে এটি একটি অন্ধকার অধ্যায় হয়ে থাকবে, যেখানে প্রতিবাদ এবং আন্দোলনের নামে সহিংসতার ছায়া একেবারে বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছিল। এখন, প্রশ্ন উঠছে, এই ঘটনার পরিণতি কি হতে যাচ্ছে? তদন্ত কমিটি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন দিকে যাচ্ছেন? সময়ই বলবে, তবে যা স্পষ্ট তা হল—এটি শুধুই শুরু।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102