শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় বাতিল, ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করলেন আপিল বিভাগ নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতার অবস্থান যাই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয় : ড. মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হলো রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে ভোটের পথে বাধা দিতে পারবে না কোনো অপশক্তি : আইজিপি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট : জাতির উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা রবিবার আরও ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন ইসির ১২ কর্মকর্তাকে বদলি রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও শাহজাদপুরে রাতের আঁধারে দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ, আতঙ্কে স্থানীয়রা

এপ্রিলে ঢাকায় আসছে আইএমএফের দল

bornomalanews
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৮৪ Time View

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশ ২৩৯ কোটি ডলার কিস্তির অর্থ পেতে পারে—এমন একটি সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে, এই অর্থছাড়ের আগে আইএমএফের প্রতিনিধি দল চলতি এপ্রিল মাসে ঢাকায় এসে বিভিন্ন শর্ত পর্যালোচনা করবে, এমনটাই জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।

অর্থ বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের জন্য শর্তগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের একটি দল আগামী ৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে। এই দলটি ৬ এপ্রিল থেকে টানা দুই সপ্তাহ ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। বৈঠকের তালিকায় রয়েছে অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। বৈঠক শেষে, ১৭ এপ্রিল আইএমএফের দলটি একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করবে।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়েছে। প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ডিসেম্বরে এবং তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ২০২৪ সালের জুনে পাওয়া গেছে। এই তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ মোট ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে, কিন্তু চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে কিছু বাধা দেখা দিয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বাজেট সহায়তার জন্য আইএমএফের ঋণ প্রয়োজন। এ কারণে বাংলাদেশ সরকার ও আইএমএফ যৌথভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত দুটি কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইএমএফের ঋণের দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পেতে বাংলাদেশের সামনে তিনটি প্রধান বাধা রয়েছে: মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তি রাজস্ব আদায় এবং এনবিআরের রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করা।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইএমএফকে জানানো হয়েছে যে, এসব শর্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করার পদক্ষেপ ছাড়া বাকি দুটির বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই।

এদিকে, ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হচ্ছে, যার ফলে হঠাৎ করে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এই পদ্ধতিতে ডলারের দাম বর্তমানে ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।

এই পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিলতা—সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে, যেখানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রশ্নগুলো একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102