বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফেরারি আসামি নির্বাচনে অযোগ্য, ‘না ভোট’ বাধ্যতামূলক!! “ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে “ বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র: ‘আমরা কোনো দলের নয়’ — স্পষ্ট বার্তা দিলেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বিজয়নগরে জাপা কার্যালয়ে সংঘর্ষ : ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহত বহু, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা-পুলিশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত রোডম্যাপ পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বিএনপির বৈঠক ১৩ বছর পর উপদেষ্টা মাহফুজের বাবা ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি বিদেশে বাংলাদেশি মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ, ‘জিরো পোর্ট্রেট’ নীতি কার্যকর সাদা সোনার লুটেরা: ভোলাগঞ্জের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশ

চট্টগ্রামে দুই ব্যাংক থেকে ১০৫ কোটি টাকা ঋণ আত্মসাতের অভিযোগ: ব্যবসায়ী আবু সাঈদ চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা

bornomalanews
  • Update Time : শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
  • ৪৯ Time View

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী আবু সাঈদ চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে একই জমির দলিল বন্ধক রেখে দুটি ব্যাংক থেকে ১০৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তিনি মেসার্স সিদ্দিক ট্রেডার্স ও সাঈদ ফুডস লিমিটেডের মালিক। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১১ সালের ১৩ এপ্রিল তিনি ওয়ান ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে মেসার্স সিদ্দিক ট্রেডার্সের নামে ৪৯ কোটি টাকা ঋণ নেন। এর বিপরীতে চট্টগ্রাম সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ২৮ শতক সম্পত্তি বন্ধক হিসেবে দেখানো হয়। ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে ২০১১ সালের ১৬ জুন ৫৪ কোটি ১৮ লাখ টাকায় উন্নীত করেন সম্রাট। তবে, পরিশোধের শর্তে মেসার্স সিদ্দিক ট্রেডার্সও দায়বদ্ধ থাকবে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে ওয়ান ব্যাংকের ঋণ সুদে-আসলে ১৮১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এদিকে, সম্রাট জালিয়াতির মাধ্যমে একই জমির ভিন্ন ৭০৬৪ নম্বর বন্ধকি দলিল তৈরি করে সোনালী ব্যাংক লালদীঘি করপোরেট শাখায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল বন্ধক রেখে ৫১ কোটি টাকা ঋণ নেন। ঋণ পরিশোধ না করায় তিনি খেলাপি হয়ে পড়েন, এবং বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। দুই ব্যাংকের কাছে সম্রাটের মোট পাওনা ৩৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। সোনালী ব্যাংক যখন সম্রাটের বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে তুলতে যায়, তখন জালিয়াতির বিষয়টি ওয়ান ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর জুবিলী রোডের টাওয়ার ইন হোটেলের পাশে ২৮ শতক সম্পত্তি নিয়ে দুই ব্যাংকের মধ্যে টানাটানি চলছে। জালিয়াতির বিষয়টি জানার পর সম্রাট তা ধামাচাপা দিতে তৎপর হন। গত ৯ মে তিনি বন্ধক রাখা সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করার জন্য আবেদন করেন, কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। সোনালী ব্যাংক গত ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে সম্রাটের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলা করেছে। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর এসআই আল আমিন জানান, ব্যবসায়ী সম্রাটের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে সম্পত্তি বন্ধক রাখার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে এবং শিগগির আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। ওয়ান ব্যাংকের লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড রিকভারি ডিভিশনের ম্যানেজার জুয়েল দাশ বলেন, “সম্রাটের নিখুঁত জালিয়াতির বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এবং তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছি।” সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, দীর্ঘদিন তাগাদার পর পরিশোধ না করায় সম্রাটের কাছে ব্যাংকের পাওনা ১৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এদিকে, আবু সাঈদ চৌধুরী সম্রাট বলেন, “ঋণের জন্য দায়বদ্ধ সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।” এই ঘটনা চট্টগ্রামের ব্যবসায়িক পরিবেশে একটি বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি করেছে, যা ভবিষ্যতে ব্যাংকিং খাতে আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102