কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় মূল হোতা শাহ পরানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। শাহ পরান ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই এবং ভুক্তভোগী নারীকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনার মূল হোতা। ঘটনার পর থেকে শাহ পরান আত্মগোপনে ছিলেন, তবে তার কাছে ধর্ষণের ঘটনায় ছবি ও ভিডিওসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র্যাব আরও জানায়, দুই মাস আগে ফজর আলী ও তার ছোট ভাই শাহ পরানের মধ্যে বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গ্রাম্য সালিশে জনসম্মুখে বড় ভাই ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে চড় থাপ্পড়ও মারেন।
এরপর শাহ পরান তার বড় ভাইয়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে সুযোগের সন্ধানে ছিলেন। সালিশের কিছু দিন পর ভুক্তভোগী নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে ঋণ নেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরে নারীর বাবা-মা মেলা দেখতে যান। এই সুযোগে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে রাতে কৌশলে নারীর ঘরে ঢুকে পড়েন।
এদিকে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নারীর বাড়ির আশপাশে অবস্থান করা শাহ পরান ও তার সহযোগীরা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে নারীকে শারীরিক নির্যাতন করেন। এ সময় তারা অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ করে এবং পরবর্তীতে সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ঘটনার পর মূলহোতা শাহ পরানসহ আবুল কালাম ও অন্যান্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।
র্যাবের এই অভিযান এবং গ্রেফতারের ফলে আশা করা হচ্ছে, ভুক্তভোগী নারী এবং তার পরিবার ন্যায়বিচার পাবে।