শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কী আছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়? এইচএসসি ফলাফলে বিস্মিত সবাই, শিক্ষার প্রকৃত সংকটে দায় এড়াতে পারে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়: শিক্ষা উপদেষ্টা মিরপুর অগ্নিকাণ্ড: শনাক্ত সাতজনের মরদেহ নিয়ে স্বজনদের দাবি এনসিপি প্রতীক বাছাই না করলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি :কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্ক হয়ে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম শাপলা প্রতীক না পেলে নিবন্ধন নয়, নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি! ‘সেফ এক্সিট’ ইস্যুতে পরিষ্কার বক্তব্য চাইলেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক: গবাদিপশু ও মানুষের মধ্যে সংক্রমণ, সতর্কতা জরুরি!! ইউনূসের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ়: প্রেস সচিব এনসিপিকে বেগুন-কলা-লাউসহ ৫০ প্রতীকের অপশন দিল ইসি

ব্যাংক খাত শক্তিশালী করার পথে রাজনৈতিক পরিবর্তন জরুরি: গভর্নর আহসান এইচ মনসুর

bornomalanews
  • Update Time : সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫
  • ৭৪ Time View

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যত ও তদারকি কাঠামো নিয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, ব্যাংক খাতের যথাযথ উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তন, যা একে শক্তিশালী করার পথে অন্যতম বাধা। গভর্নর বলেন, একমাত্র রাজনৈতিক পরিবর্তনই নিশ্চিত করতে পারে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের ব্যাংক খাতের নীতিমালাগুলো কার্যকরী হতে পারবে এবং খাতটি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। গভর্নর আরও জানান যে, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন একটি ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি (রিস্ক বেসড সুপারভিশন) পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে, যা আগামী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে। এই ব্যবস্থাটি ব্যাংক খাতের তদারকি ব্যবস্থা আরও আধুনিক ও দক্ষ করবে, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোয় একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। এই পদ্ধতিতে ৩৬০ ডিগ্রি সুপারভিশন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে, যা বিভিন্ন দিক থেকে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। তবে গভর্নরের মন্তব্য অনুযায়ী, শুধু নীতিগত পরিবর্তনেই ব্যাংক খাতের সংস্কার সম্ভব নয়; এর জন্য রাজনৈতিক দৃঢ়তা ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজে যদি কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকে, তাহলে ব্যাংক খাতের উন্নয়ন সম্ভব হবে।” ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে গভর্নর জানিয়ে দেন, বেশ কিছু দুর্দশাগ্রস্ত ব্যাংকের পুনর্গঠন এবং একীভূতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ছয়টি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকের সঙ্গে আবার বৈঠক করা হবে, এবং যদি তারা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারে তবে একীভূতকরণের প্রক্রিয়া স্থগিত করা হতে পারে। দুর্দশাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতি উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, “বোর্ড পুনর্গঠনের পর কিছু ব্যাংক ভালো কাজ করছে, তবে যারা এখনও কার্যকর ফলাফল দেখাতে পারেনি, তাদের বোর্ড পুনর্গঠন করা হবে।” অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে পারে। প্রয়োজনে কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে। এছাড়া, গভর্নর ডলারভিত্তিক রিজার্ভ ব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন, এবং নতুন পণ্য মুদ্রা বা অন্যান্য সম্পদ সংগ্রহের দিকে নজর দিচ্ছেন। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, যা আগামী দিনে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। তবে, সবকিছুই রাজনৈতিক পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল, এবং গভর্নর আশাবাদী যে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো দেশব্যাপী ব্যাংক খাতের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102