আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সিদ্ধান্তের ফলে, গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়েছে, আবার বাগেরহাটে একটি কমিয়ে তিনটি আসন রাখা হয়েছে। ইসি সচিব আখতার আহমেদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যা পরে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।” এ সীমানা নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ১৬ জুলাই থেকে, যেখানে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি ৯ সদস্যের কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। ভূগোলবিদ, নগরবিদ, পরিসংখ্যানবিদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তাদের পরামর্শে দেশের ৬৪ জেলার ৩০০ আসনের সীমানা পর্যালোচনা করা হয়। পরে ৩০ জুলাই, ২৬১ আসনের সীমানা অপরিবর্তিত রেখে ৩৯টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন করা হয় এবং নতুন সীমানার খসড়া প্রকাশ করা হয়। সেই অনুযায়ী, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছে, যার মধ্যে গাজীপুরের একটি আসন বাড়ানো এবং বাগেরহাটের একটি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে, গাজীপুরে এখন ৫টি থেকে বেড়ে ৬টি সংসদীয় আসন হবে, এবং বাগেরহাটে ৪টি থেকে কমে ৩টি আসন থাকবে। এছাড়া, ৩০০ আসনের মধ্যে পঞ্চগড়-১, ২, রংপুর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, ২, সাতক্ষীরা-৩, ৪, শরীয়তপুর-২, ৩, ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪, ১৯, গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫, ৬, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪, ৫, সিলেট-১, ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩, কুমিল্লা-১, ২, ১০, ১১, নোয়াখালী-১, ২, ৪, ৫, চট্টগ্রাম-৭, ৮ এবং বাগেরহাট-২, ৩ আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সীমানা নির্ধারণের পর, আপত্তি ও সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে এক হাজার ৮৯৩টি আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১,১৮৫টি আপত্তি এবং ৭০৮টি পরামর্শ বা সুপারিশ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন পক্ষ থেকে মতামত এসেছে। এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে সীমানা পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়া আরো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।