বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে পদক্ষেপ নিয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়ে ফরেনসিক তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে ঘটনাটি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ এবং কারণ উদঘাটন করা যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা দেশের সরকারি এবং বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে আগুন-নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ সপ্তাহ ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই সপ্তাহজুড়ে সব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করবে। অগ্নিকাণ্ড রোধে কোথাও কোনো ঘাটতি রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে ফায়ার সেফটি নিয়ে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আসন্ন নির্বাচনে নিরাপত্তা জোরদার করতে বডিক্যাম ও সিসিটিভি ব্যবহারের বিষয়েও পর্যালোচনা চলছে বলে জানান শফিকুল আলম। এসব প্রযুক্তি কীভাবে, কোথায় এবং কতটুকু আইনসম্মতভাবে ব্যবহার করা যাবে, তা নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ড্রোনসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সরকারের এই উদ্যোগগুলো দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের নিরাপত্তা ও অগ্নি-নির্বাপণ প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।