বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারে দেশের সর্বোচ্চ সমন্বয় কমিটির সাম্প্রতিক সভায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি জানানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে দেশে ৫৫ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা এবং বিদেশে ১০ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সংযুক্ত ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে, যার মোট মূল্য ৬৬ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। সভায় মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের জন্য বিদ্যমান আইন, ২০১২-এর কিছু ধারা যুগোপযোগী করে সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে উদ্ধার কার্যক্রম আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়। এছাড়া, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিহ্নিত ১১টি কেসে যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দল দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১০৪টি মামলা দায়ের, ১৪টিতে চার্জশিট দাখিল এবং ৪টি মামলার রায় হয়েছে। সভায় দ্রুত চার্জশিট দাখিল, বিদেশে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে এমএলএআর পাঠানো এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি, ২০২৭-২৮ সালে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিং কর্তৃক বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণের মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে, সেটির সফল প্রস্তুতির জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সভায় দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সিআইডি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।