ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১০টার দিকে জীবনযুদ্ধে হার মানেন। ঢাকা পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা দেশজুড়ে শঙ্কা ও উদ্বেগের সঞ্চার করে। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ও ভারত বিরোধী বক্তব্যের জন্য আলোচিত ছিলেন তিনি। হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি নির্বাচনের পূর্বাভাস হিসেবে রাজনৈতিক অস্থিরতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রধান সন্দেহভাজনসহ সংশ্লিষ্টরা। হত্যার হুমকির কথা আগেই প্রকাশ করলেও, তিনি ‘ইনসাফের লড়াই’ থেকে পিছিয়ে যাননি। তার রাজনৈতিক জীবনে ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠা, সমাবেশ আয়োজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা উল্লেখযোগ্য। এই হত্যাচেষ্টার ঘটনা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহিংসতার বাড়তে থাকা প্রবণতার সতর্ক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রাজনৈতিক উত্তাপে সন্ত্রাস ও নাশকতার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে উদ্বেগ বিরাজ করছে। শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু শুধু একটি ব্যক্তির জীবনান্তই নয়, এটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি গভীর ক্ষত এবং রাজনৈতিক সহনশীলতার সংকটে দৃষ্টান্ত হয়ে দেখা দিয়েছে।