লন্ডন থেকে ফিরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ১৭ বছর পর ভোটার তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার সকালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারতের পর তিনি আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গুলশানের নিজের বাসা থেকে বের হয়ে সাদা রঙের ফুল দিয়ে সাজানো গাড়িতে আগারগাঁও যান তিনি। এখানে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নিচতলায় প্রবাসী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত কক্ষে তারেক রহমানের ছবি তোলা, দশ আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ স্ক্যান এবং স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের ডিজি এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, ভোটার নিবন্ধনের জন্য ব্যক্তির ছবি, আইরিশ এবং আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে তা ইসি ডেটাবেজে আপলোড করা হয় এবং তথ্যের ক্রসম্যাচের মাধ্যমে একটি নম্বর জেনারেট হয়। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। ২০০৮ সালে প্রথমবার ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি হলেও তারেক রহমান তখন লন্ডনে থাকায় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হননি। এর পর দীর্ঘ সময় দেশে না এসে ভোটারও হননি। এবার আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পথে তিনি নিজের ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে রাজনৈতিক দলে সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারেক রহমান আগামী নির্বাচনে তার পৈতৃক এলাকা বগুড়ার সদর (বগুড়া–৬) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় নেতারা তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে তার ফেরার নতুন অধ্যায় শুরু হলো।