আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : বিকাল ৫:৩৯

বার : শনিবার

ঋতু : গ্রীষ্মকাল

গ্রামের ভাঙা সেতু পুনর্নির্মাণে বাজেট চার হাজার কোটি টাকা

গ্রামের ভাঙা সেতু পুনর্নির্মাণে বাজেট চার হাজার কোটি টাকা

দেশের বিভিন্ন গ্রামীণ জনপদে ভেঙে পড়া বা চলাচলের অযোগ্য অথচ গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলো পুনরায় নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে চার হাজার ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ (২য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্প নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গ্রমীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবহন সময় ও ব্যয় হ্রাস এবং কৃষি বা অকৃষি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজীকরণ এবং প্রকল্প এলাকায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ (২য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

জানা গেছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া অর্থে প্রণীত প্রকল্পটি সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এর অনুমোদন পেয়েছে। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৮টি বিভাগের ৩৫টি জেলার ৫৮টি উপজেলায় অকেজো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকশ’ সেতু মেরামত ও পুনর্নির্মাণ করা হবে। এতে প্রকল্প এলাকায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও একইসঙ্গে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। পণ্য পরিবহনে সময় ও ব্যয়ও কমবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্প প্রস্তাবনায় স্থানীয় সরকার বিভাগ জানিয়েছে প্রকল্পের আওতায় দেশের ৫৮ উপজেলায় ১৭ হাজার ৬৯৭ মিটার সেতু নির্মাণ করা হবে। এর জন্য প্রকল্প এলাকায় ৪ হাজার ২৩০ মিটার সেতুর নদী শাসনের কাজ করা হবে। সেইসঙ্গে ৩৮ হাজার ৮০০ মিটার সেতুর এপ্রোচ বা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের (সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) আরএডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় রাখা হয়েছিল।

কমিশন জানিয়েছে, সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ বা পুনর্বাসন, গ্রোথ সেন্টার বা বাজার উন্নয়ন ইত্যাদির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, যার সঙ্গে প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ।

এ সব কারণে পরিকল্পনা কমিশন তাদের মতামতে বলেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রামীণ সড়ক যোগযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজীকরণ এবং স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। এ কারণেই স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ (২য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পটি একনেক-এ অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।

প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অকেজো কয়েকশ’ সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। ব্যবসার সম্প্রসারণও হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category