পশ্চিমাদের সাহসের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার আক্রমণের শিকার দেশটির প্রতিরক্ষার জন্য তিনি আবারও পশ্চিমাদের কাছে যুদ্ধবিমান ও ট্যাংক চেয়েছেন। রবিবার তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার পোল্যান্ডে ইউক্রেনের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পর জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলো যুদ্ধবিমান ও ট্যাংক না পাঠানোর কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, আজ আমি মারিউপোল রক্ষাকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তাদের প্রতিজ্ঞা, বীরত্ব ও দৃঢ়তা বিস্ময়কর।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, যারা গত ৩১ দিন ধরে ভাবছেন কয়েকডজন যুদ্ধবিমান ও ট্যাংক কীভাবে পাঠাবেন তাদের যদি মাত্র ১ শতাংশ সাহস থাকত।
ইউক্রেনে রুশ হামলা ৩২তম দিনে গড়িয়েছে। রাজধানী কিয়েভ দখলে রুশ বাহিনীর অগ্রগতি থমকে আছে। ইউক্রেনের দৃঢ় প্রতিরোধের মুখে অনেক স্থানে রুশ সেনারা আত্মসমর্পণ করছে বলে পশ্চিমারা দাবি করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদে পাঠানো অস্ত্রে ইউক্রেনের প্রতিরোধ যুদ্ধ শক্তিশালী হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পশ্চিমারা ইউক্রেনকে কোনও যুদ্ধবিমান দেয়নি। পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমান পাঠানোর একটি প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘাতের আশঙ্কায় ন্যাটোর উদ্বেগ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলেনস্কি প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে, ইউরো-আটলান্টিক কমিউনিটির দায়িত্বে কে? এখনও কি মস্কো, এর কারণ রাশিয়ার ভয় দেখানোর কৌশল। আমাদের অংশীদারদের ইউক্রেনে সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
রবিবার ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, উত্তর ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র মোটামুটি স্থবির। ইউক্রেনের পাল্টা হামলায় রুশ সেনাদের পুনরায় সংগঠিত হওয়ার উদ্যোগ ব্যাহত হচ্ছে।
ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি ক্ষোভ সহকারে মস্কোর প্রতি হুঁশিয়ারি জানান। তিনি দাবি করেন, ইউক্রেনীয় মানুষদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার তীব্র বিদ্বেষ রয়েছে।
Leave a Reply