‘মুজিবস বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ড নেমের মাধ্যমে দেশে পর্যটন শিল্প নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত পর্যটন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান মুজিবস বাংলাদেশ নাইটে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান বিষয় হয়ে উঠতে পারে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলোকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করতে ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে বেশ কটি প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, এজন্যই মুজিবস বাংলাদেশ। এটি একটি অর্থবহ নামকরণ।
মাহবুব আলী বলেন, আমরা কান্ট্রি ব্র্যান্ড নেম হিসেবে ‘মুজিবস বাংলাদেশ’ পর্যটন বিষয়ক সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণায় ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি শক্তি এবং সাহসের নাম। বাংলাদেশ এখন সবক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে সবকিছু হচ্ছে। আমাদের অ্যাভিয়েশন খাত অনেক এগিয়েছে। হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে থার্ড টার্মিনাল হলে যাত্রী সেবা আরও বাড়বে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে যে ক্ষেত্রগুলোর উপর বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেছিলেন, তার মধ্যে পর্যটন অন্যতম। জাতির পিতার হাত ধরেই বাংলাদেশে পর্যটনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পর্যটন শিল্পসংশ্লিষ্টদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পর্যটন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ন্যাশনাল হোটেল ও ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটটিও পরিচালনা করে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিবছর প্রায় ১৬০০ জন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২০১৭ সালে ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে হাতে নেওয়া কাজ সমাপ্তির পথে।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পর্যটনের ব্র্যান্ড নেম ‘মুজিবস বাংলাদেশ’ লেখা একটি লোগো উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, টোয়াব সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান, টোয়াবের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান মাসুম, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply