আজ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : দুপুর ১২:০৭

বার : শুক্রবার

ঋতু : গ্রীষ্মকাল

বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দেইনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দেইনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গত ৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষকে তিনি অনুরোধ করেছেন। বুধবার (২০ এপ্রিল) দেশে ফেরার পর বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, এ বিষয়ে তিনি কোনও প্রস্তাব দেননি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চাই সব দলই আসুক। কিন্তু কোনও একটি বড় দল আছে, তারা প্রকাশ্যে বলে  নির্বাচন করবে না। তারা জনগণকে ভয় পায় কারণ তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসেনি। তাদের জন্ম ক্যান্টনমেন্টে, তারা ওই ধরনের জিনিস আশা করে।

তিনি বলেন, তাদের বলেছি এদেরকে (বিএনপি) আমরা আনতে পারি না। তিনি (ব্লিনকেন) বললেন, ‘কেন আনতে পারেন না’। তখন আমি বললাম, ‘আপনি চাইলে নিয়ে আসেন। দেখেন আপনি পারেন কিনা ‘

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুযোগ সবার জন্য সমান। অন্যান্য সব দলই আসে। ওরা (বিএনপি) যদি না আসে তাহলে আমি কী করবো। আমরা কথার মধ্যে বলেছি যে তারা আসে না। আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু আইনের মাধ্যমেই ইলেকশনে আসতে হবে। জনগণের কাছে যেতেই হবে।

বিএনপির বিষয়টি কথার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও প্রস্তাব দেইনি। আমি বলেছি আপনারা পারলে আনেন। আমরা তো সবাইকে আনতে চাই।’

স্বচ্ছ গণতন্ত্র

দেশে গণতন্ত্র অত্যন্ত স্বচ্ছ। বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য বলেও জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ পেয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতা দেওয়া হলো না। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। এই জন্যই আমাদের দেশের নির্বাচনে ৭২ শতাংশের নিচে কোনও ভোট হয় না।

তিনি বলেন, আপনার (যুক্তরাষ্ট্র) ২৫০ বছরের গণতন্ত্র। আমাদের ৫০ বছর।  আড়াইশ বছরেও এখনও আপনাদের প্রতিবন্ধকতা আছে। যুক্তরাষ্ট্রে যে সরকার থাকে সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। আমার দেশেও সে নিয়মে হবে বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এত বড় দেশ, কোথাও কোথাও কারচুপি হতে পারে।  যেখানে কারচুপি হয় সেখানে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেয়। আমাদের খুব ভালো ইলেকশন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত স্বাধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category