বাংলাদেশের নির্বাচনে কে জিতলো তাতে মাথা ব্যথা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। তবে নির্বাচনে যেন জনরায় প্রতিফলিত হয় সেদিকে নজর রয়েছে এবং অংশগ্রহণমূলক ভোটের প্রত্যাশাও রয়েছে দেশটির।
বুধবার (৮ জুন) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বুধবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, আমি আবারও বলছি- নির্বাচনে কে জিতল সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়। তবে আমরা এমন নির্বাচন চাই-যেখানে বাংলাদেশের মানুষ যেন তাদের জনপ্রতিনিধিকে বেছে নিতে পারে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সৌজন্য সাক্ষাৎ সারছেন এ রাষ্ট্রদূত। এরই অংশ হিসেবে সিইসির সঙ্গে এ বৈঠক করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি পরিস্থিতি বোঝারও চেষ্টা করছেন তিনি। রাষ্ট্রদূত জানান, পুরো নির্বাচন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, সরকার, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও জনগণেরও ভূমিকা রয়েছে।
সাক্ষাৎ শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত তেমন কিছু আলোচনা করেননি। নির্বাচন সম্পর্কে আমরা কেমন ফিল করি জানতে চান— এটা নিয়ে কিছুটা ব্রিফ দিলাম।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আগের চেয়েও স্বচ্ছ হবে বলে আশ্বাস দিয়ে সিইসি বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে আশা করি আগামী নির্বাচন সফল হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার চেষ্টা করবো। পর্যবেক্ষকদের এলাউ করার চেষ্টা করবো। ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা রাখা চেষ্টা করা হবে। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ভালো নির্বাচন করা হবে।
দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যেও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, উনিও বিশ্বাস করেন সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ থাকবে। আশা করছেন-রাজনৈতিক দলগুলার মধ্যে হয়ত সমঝোতা হতে পারে। এটা রাজনৈতিক নেতৃত্ব বুঝবেন।
সিইসি বলেন, মার্কিন দূত চেয়েছেন নির্বাচন ফ্রি ও ফেয়ার হলে ভালো হয়। সহসা দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপে বসবো। অংশগ্রহণমূলক কিভাবে করা যায় সে দিকটা আমাদের তরফ থেকে তাদের সঙ্গে আলোচনা করলে একটা পথ বের হবে।
Leave a Reply