আজ ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : সন্ধ্যা ৭:৩৯

বার : বৃহস্পতিবার

ঋতু : গ্রীষ্মকাল

ড. ইউনূস, হিলারি ও টনি ব্লেয়ারের স্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি

ড. ইউনূস, হিলারি ও টনি ব্লেয়ারের স্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি

পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, ইংল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরির ওপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।

আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে প্রশ্ন করতে চাই, কোনও অপরাধ ছাড়া কেন এই ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। ইতোমধ্যে কানাডার আদালতে প্রমাণ হয়েছে, এখানে কোনও দুর্নীতি হয়নি। পদ্মা সেতু যাতে বাস্তবায়ন না হয়, এ জন্য দেশ-বিদেশি যারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ড. ইউনূস, হিলারি ক্লিনটন, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রীর ওপর স্যাংশন দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এসে নতুন করে কোনও ষড়যন্ত্র না করতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দিয়ে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ড. ইউনূস, এতিম টাকা আত্মসাৎকারী খালেদা জিয়া এবং তার বড় ছেলে তারেক জিয়া।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছেন, তার সরকারের আমলে কেউ অপরাধ করে রেহাই পাবে না। আমি বিশ্বাস করি, যারা গরিবের হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে বিদেশের ব্যাংকে রেখেছেন, যাদের নাম পানামা পেপারস এবং প্যারাডাইস পেপারসে এসেছে, তাদের শিগগিরই দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী ভাইয়েরা বড় ভূমিকা পালন করেন। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। প্রবাসী ভাইয়েরা বিমানবন্দরে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন। বিমানবন্দরে নেমে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যেন হয়রানির শিকার না হয়, তাই থার্ড টার্মিনালে ট্যাক্স, কাস্টমস সেল স্থাপনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকার ভাঙ্গা গোলচত্বর পৃথিবীর দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার একটি। এটি ভাঙ্গা পৌরসভার অন্তর্গত। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দর্শনার্থীরা তাদের পরিবার নিয়ে এটি দেখতে আসে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ভাঙ্গা পৌরসভার রাস্তাঘাট খুবই জরাজীর্ণ ও নাজুক অবস্থায় পড়ে আছে। এখান থেকে দর্শনার্থীরা ঘুরে গিয়ে প্রায়ই বলে থাকেন, ‘ওপর দিয়ে ফিটফাট, নিচ দিয়ে সদরঘাট’। আমি সেখানকার উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি প্রস্তাবিত পদ্মা বিভাগের বিভাগীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙ্গা উপজেলায় স্থাপনের দাবি তোলেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category