চীন সফররত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য একটি বড় ঝুঁকি, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব এশিয়ার দেশগুলির পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) চীনের শানসি প্রদেশের জিয়ান সিটিতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক এশীয় জোটের প্রতিষ্ঠা সমাবেশের দ্বিতীয় অধিবেশনে পর্যবেক্ষক দেশের প্রতিনিধি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলোর মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং জলাবদ্ধতা অন্যতম। এসব বিষয় ছাড়াও শিল্পায়ন, নগরায়ণ, উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষতার অভাব বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর ব্যবস্থাপনার জন্য বড় হুমকি।’
তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর কার্যকর ও সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য করোনা মহামারি আরেকটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসাবে আবির্ভূত হয়। দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ইউনেস্কো ঢাকা অফিস ও ইউএনডিপির সহযোগিতায় উপকূলীয় অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘের গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) একটি ধারণাপত্র প্রস্তাব করেছে, যা প্রক্রিয়াধীন।’
কে এম খালিদ বলেন, ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক এশীয় জোটের এ প্রতিষ্ঠাতা সমাবেশ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। আমরা যদি অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একসঙ্গে একটি অভিন্ন লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো, আর তা হল– আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ।’
এতে আরও বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক এশীয় জোটের বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র, নন-মেম্বার স্টেট (অসদস্য রাষ্ট্র) ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এশীয় দেশগুলির মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক সহযোগিতার জন্য একটি আন্তসরকারি ব্যবস্থা হিসাবে এই সংস্থাকে একীভূত করার জন্য চীন ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত শানসি প্রদেশের জিয়ান সিটিতে প্রতিষ্ঠা পরিষদের আয়োজন করছে। এশিয়ার ২০টি দেশের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য কর্তৃপক্ষ থেকে মন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং প্রাসঙ্গিক প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।
Leave a Reply