নিজস্ব প্রতিনিধি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে সরকার একজন প্রবীণ নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।
মঙ্গলবার (৩রা অক্টোবর) বিকেলে গুলশানে দলটির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার আইনের দোহাই দিয়ে একজন প্রবীণ নাগরিককে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ, নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার নজির এদেশেই রয়েছে। আ স ম আবদুর রব একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হিসাবে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। পাকিস্তানে নওয়াজ শরীফকেও ইমরান খানের সরকার নির্বাহী আদেশে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছিলেন। অথচ, আইনের ঠুনকো অজুহাত দেখিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রাখতে চাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, এমন কর্মকাণ্ডের পরিণতি ভালো হয় না।
বিএনপি চেয়ারপার্সনকে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাকে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে যা করার দরকার করে যাবো। গণতন্ত্র বিশ্বাস করি বলেই এখনো আমরা এ ভাষায় কথা বলি। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য দলের পক্ষ থেকে গণতান্ত্রিক সব প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা করতে দিচ্ছে না। আমরা গণতন্ত্র থেকে উপায় নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। জনগণের আন্দোলনে এ সরকারের পতন ঘটবে। তখন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিত হবে।’
খালেদা জিয়াকে এ পরিস্থিতিতে রেখে বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। খালেদা জিয়াকে এ অবস্থায় রেখে তো নয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া নির্বাচনে যাবো না।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অশালীন বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ। এটা কল্পনার বাইরে। তার বক্তব্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ফুটে উঠেছে। এগুলো নিয়ে নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শিমুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply