আজ ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : সকাল ৯:৫৩

বার : মঙ্গলবার

ঋতু : গ্রীষ্মকাল

শেখ হাসিনার দু:শাসনের ৫৩৮২ দিন আওয়ামী দুঃশাসনে নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে

শেখ হাসিনার দু:শাসনের ৫৩৮২ দিন

আওয়ামী দুঃশাসনে নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে


শেখ হাসিনার দু:শাসনের ৫৩৮২ দিন

শেখ হাসিনার দু:শাসনের ৫৩৮২ দিন

নিজস্ব প্রতিনিধি

শেখ হাসিনার দু:শাসনে নারী নির্যাতন ও নারীদের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি কমেনি বরং বেড়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে গালগল্প শোনা যায় আওয়ামীদের মুখে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে নারী নির্যাতন কোনো অংশেই কমেনি। বরং সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নারীরা। বিভিন্নভাবে শিকার হচ্ছেন সহিংসতার। আইনের দ্বারস্থ হলেও আওয়ামী আদালতগুলোতে মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেকে বিচার পাচ্ছেন না। ফলে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে নারী নির্যাতন।

চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ২ হাজার ১৫৫ নারী ও কন্যা শিশু বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জানুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার ২৪০ নারী ও কন্যা শিশু। ফেব্রুয়ারিতে ২৩২ নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতনের শিকার হয়েছে মার্চে ২৪৯ নারী ও কন্যা শিশু। এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ২৩৩ নারী ও কন্যা শিশু। মে থেকে নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যায়। এই মাসে ৩০১ নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়। জুনে ৩২৯ নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। জুলাইয়ে ২৯৮ নারী ও কন্যা শিশু এবং আগস্টে ২৭৩ নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়।

আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনে বিচারহীনতার কারণে নির্যাতনের প্রতিকার ঠিকমতো পান না ভুক্তভোগী নারীরা।

সরকারি-বেসরকারি তথ্য বলছে, পাঁচ বছর আগের তুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এখন মাসে গড়ে ৩৫০টি মামলা বেড়েছে। বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, প্রতারণা, যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের আরেকটি বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। চলতি বছরের শুরুর দিকের তুলনায় শেষের দিকে অনলাইনে নির্যাতনের অভিযোগ বেড়েছে ২৫ শতাংশ।

এমনকি সরকারি দলের নেতা-কর্মীরাও এসব ব্ল্যাকমেইলিংয়ে যুক্ত রয়েছেন।

আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক প্রেক্ষাপট তৈরির বড় কাজটি করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অথচ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের বাজেট গত ছয় বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম। এ সময়ে বাজেট কমেছে ৬৩ শতাংশ। বাজেট বরাদ্দ হলেও তা লুটপাট করে খেয়ে ফেলেন সরকারি দলের রাঘব-বোয়ালেরা।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৮ সাল থেকে পরবর্তী প্রতিবছরেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা বেড়েছে। এর মধ্যে ব্যাপক করোনা সংক্রমণের দুই বছর ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি ৩৯ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৩৬ শতাংশ বেশি মামলা হয়। ২০১৮ সালের তুলনায় চলতি বছরের ১০ মাসে মামলা বেড়েছে ৫ শতাংশ।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় ধর্ষণ, যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও হত্যা, অপহরণ, যৌন নিপীড়ন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা, দাহ্য পদার্থ দিয়ে ক্ষতি করা, ভিক্ষাবৃত্তির উদ্দেশ্যে শিশুর অঙ্গহানির মতো অপরাধ রয়েছে।

উচ্চ আদালতের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের ৯৯টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৩১। সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ২৫টি মামলার বিচার চলছে ঢাকার ৯টি ট্রাইব্যুনালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category