শেখ হাসিনার দু:শাসনের ৫৪০৩দিন
নিজস্ব প্রতিনিধি
গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে পুলিশি তাণ্ডব চালিয়ে পণ্ড করে দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে গ্রেফতার ও নিপীড়ন। বিএনপি মহাসচিব থেকে শুরু করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের বাড়ি বাড়ি অভিযান ও গ্রেফতার চলছে। ২৮ অক্টোবর থেকে প্রতিদিনই বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের গ্রেফতারের খবর আসছে। গ্রেফতারের পর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে ব্যবহার করে নেতাদের নেওয়া হচ্ছে পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে। পুলিশ ও আদালতের যৌথ নিপীড়নের পরও দলটির কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনই হচ্ছে দলটির প্রধান টার্গেট।
এদিকে বিরোধী দলের একদফার আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়েছে শেখ হাসিনা। একই সাথে মাঠে রয়েছে আওয়ামী তথ্যসন্ত্রাসের সহযোগী মিডিয়া গুলো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, যারা ভাবছেন সরকারের প্রশাসনযন্ত্র ব্যবহার করে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে এবং মিডিয়ায় অপপ্রচারের সুযোগ নিয়ে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য ও নিশ্চিহ্ন করে দেবেন, তাদের উদ্দেশে বলতে হয়- বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যার ভিত্তি হচ্ছে তৃণমূল, জনগণের শিকড়ে। তার ওপরে রয়েছেন মধ্যসারির ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা।
তিনি বলেন, সবার শীর্ষে এ দুয়ের ওপরে শক্ত মাটির ওপরে দাঁড়িয়ে আছে বিএনপিকে যারা সমন্বয় করে দিকনির্দেশনা দেন সেই কেন্দ্রীয় নেতারা। কয়েক দিনে সবাই প্রত্যক্ষ করেছেন, যাকেই যেখানে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে, সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠছে জনগণের মধ্য থেকে।
যতদিন না এদেশের মানুষের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সফল হবে, ততদিন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চলতেই থাকবে। কাজেই মিথ্যা মামলা-হামলা আর গ্রেফতার-আটকের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা মূলত ফ্যাসিবাদী দু:শাসন টিকিয়ে রাখতে এখন বিরোধী দল দমনে পুলিশ, আওয়ামী সন্ত্রাসী ও মিডিয়া সন্ত্রাসের উপর নির্ভর করছে।
Leave a Reply