নিজস্ব প্রতিবেদক
শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক সহযোগী হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন একতরফা ভোটেও বিজয়ে আস্থাহীন। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীতেও ভয় তাদের। এই ভয় থেকে ভোটের আগেই বিজয়ের নিশ্চয়তা চায় শেখ হাসিনার কাছে। ২০০৬ সাল থেকেই শেখ হাসিনার সাথে রয়েছেন তারা। তারপরও একতরফা নির্বাচনে বিজয়ের জন্য করুণা ভিক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।
মেনন-ইনুদের বিজয়ের জন্য করুণা ভিক্ষার চিত্রই বলে দিচ্ছে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে দেশে কি ঘটতে যাচ্ছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বরিশালে দলীয় এক জনসভায় রাশেদ খান মেনন প্রকাশ্যেই বক্তব্যে বলেছিলেন নির্বাচনের নামে কিভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছিল। ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে রাশেদ খান মেনন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। ঢাকার মতিঝিলের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাশেদ খান মেননকে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করে আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালের নির্বাচনের ১০ মাসের মাথায় মেনন স্বতঃস্ফূর্তভাবেই স্বীকার করেছিলেন ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। তাঁর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ১৯ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার শিরোনাম ছিল- ‘জনগন আমাদের ভোট দেয় নাই’-রাশেদ খান মেনন। এ খবরের ভেতরে বলা হয়, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘আমিসহ যারা নির্বাচিত হয়েছি আমাদেরকে দেশের কোন জনগণ ভোট দেয় নাই। ভোটাররা কেউ ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেনি। বিগত জাতীয়, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোথায়ও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ।’ তিনি আরো দাবি করেন, উন্নয়নের নামে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল জেলা কমিটির সম্মেলন উপলক্ষ্যে অশ্বিনী কুমার টাউন হলে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোট নিয়ে এমন মন্তব্য করেছিলেন।
শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী হিসাবে আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনেও আগাম বিজয়ের নিশ্চয়তা চাচ্ছেন মেনন-ইনুরা। তারা জানেন ভোট হলে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। তাই শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসাবে নিজেদের সমর্পণ করেই বিজয় চান এই দুই বাম নেতার আওয়ামী নির্ভর রাজনৈতিক দল।
এদিকে গত ১৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ থেকে মেনন-ইনুকে ৭টি আসন ছেড়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। এতে তারা সন্তুষ্ট নন। তারা চাচ্ছেন বিজয়ের নিশ্চয়তা। তাদের দাবি ছেড়ে দেওয়া আসন গুলো থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরই শুধু সরিয়ে নিলে চলবে না। স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও সরিয়ে নিতে হবে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়ে দিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে তাদের কোন করণীয় নেই।
Leave a Reply