ইসরায়েলি বেশ কয়েকজন সেনাকে আটকে ফেলার দাবি করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। রোববার হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম বিগ্রেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা এই দাবি করেন। তবে, কতজনকে আটকে ফেলা হয়েছে তা জানাননি তিনি।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম বিগ্রেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া এলাকায় যুদ্ধের সময় একটি টানেলে ব্যাপক লড়াই করে আমাদের যোদ্ধারা। এ সময় ইহুদিদের কুপোকাত করা হয়। ইসরায়েলি সেনাদের কেউই বেঁচে ফিরে যেতে পারেনি। মারা গেছে কিংবা আহত হয়েছে।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শনিবার গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া এলাকায় যুদ্ধের সময় তাদের আটকের দাবি করে হামাস। তবে, হামাসের এই দাবি মিথ্যা বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
তবে, সঠিক সংখ্যা না জানালেও কয়েকটি ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করেছে হামাস। তাতে দেখা যায়, রক্তমাখা শরীর টেনে নিয়ে যাচ্ছেন সেনারা। তবে, এই ভিডিও আসল নাকি নকল, তা যাচাই করতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার জাবালিয়ায় একটি স্কুলে ড্রোন হামলায় শিশুসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের বরাতে এ তথ্য জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাবালিয়ার উপকণ্ঠে সাফতাওয়ে এলাকার আল-নাজলা স্কুলে ওই হামলা হয়। স্কুলটি একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকে।
গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি মানুষ।
Leave a Reply