আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : সকাল ৯:১৮

বার : শনিবার

ঋতু : বর্ষাকাল

একদিনেই ধার ৩০ হাজার কোটি টাকা,ফের তারল্যের চাপ বাড়ছে ব্যাংকে।

ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনায় চাপ বেড়েই চলেছে। বেশ কিছুদিন পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ধার করার প্রবণতা আবার বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার একদিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধার করেছে ২৬ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। এছাড়া একই দিন কলমানি মার্কেট ও এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে স্বল্প ও মেয়াদি ধার করেছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। এই দুই খাত মিলে একদিনেই ব্যাংকগুলো মোট ধার করেছে ২৯ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। এর আগে একদিনে মোট ৩৩ হাজার কোটি টাকা ধার করার নজির রয়েছে।

সূত্র জানায়, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো সরকারি খাতের বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করে। বিনিয়োগ করা এসব অর্থ তারা বিধিবদ্ধ আমানত হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে। প্রচলিত ব্যাংকগুলোকে মোট আমানতের ১৩ শতাংশ ও ইসলামী ব্যাংকগুলোকে মোট আমানতের সাড়ে ৫ শতাংশ বিভিন্ন বন্ড বা বিলে বিনিয়োগ করে বিধিবদ্ধ আমানত হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। তবে অনেক ব্যাংক প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিল বন্ড কিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাখে। এর বিপরীতে তারা সুদ বা মুনাফা পায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব বিল ও বন্ড থেকে পাওয়া অর্থ সরকারকে ঋণ হিসাবে জোগান দেয়। ব্যাংকগুলোর প্রয়োজন হলে বিধিবদ্ধ আমানতের চেয়ে বেশি অর্থ ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করা থাকলে সেগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ রেখে ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোকে ঋণ দেয়। যাকে ট্রেজারি বিল বন্ড পুনরায় কিনে নেওয়ার চুক্তি বা রেপো বলা হয়। এর আওতায় ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এখন ধার করছে।

সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর ধারের প্রবণতা নিয়ে বিশ্লেষকদের সমালোচনার কারণে গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। তারা কলমানি মার্কেট বা ব্যাংক থেকে ধার করতে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করে। ফলে গত এক মাস কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর ধারের প্রবণতা ছিল কম। ওই সময়ে তারা কলমানি মার্কেট ও এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ধার করেছে। কিন্তু গত বহস্পতিবার আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোর মাধ্যমে ধারের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এদিন ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো মোট ২৬ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সুদের হার ছিল গড়ে সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে পৌনে ৯ শতাংশ। এর বাইরে ব্যাংকগুলো কলমানি মার্কেট ও এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে স্বল্প ও মেয়াদি ধার করেছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে কলমানি মার্কেট থেকে ধার করেছে ২ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। এতে সর্বোচ্চ সুদ হার ছিল ১০ শতাংশ ও সর্বনিম্ম সাড়ে ৮ শতাংশ। গড় সুদ হার ছিল ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। বাকি এক হাজার কোটি টাকা ধার করেছে স্বল্প ও মেয়াদি ধারের উপকরণের আওতায়। এগুলোতে সুদের হার ছিল সাড়ে ৮ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category