সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলেই এখন একটি বাক্য বেশ চোখের সামনে পড়ছে। আর তা হলো ‘অল আইজ অন রাফা’ এই বাক্যটি। বলা ভালো, এটি আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ট্রেন্ডিং’। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজার রাফায় আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনের সমর্থনে এই বাক্যটি পোস্ট করছে।
‘অল আইজ অন রাফাহ’ লেখা একটি পোস্ট এরইমধ্যে সাড়ে চার কোটি ব্যবহারকারী ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। এই পোস্টটিতে একটি ছবি দেখা যায়, যেখানে ঘনবসতিপূর্ণ তাঁবুর সারি রয়েছে। আর এর পাশেই রয়েছে পাহাড়।
এদিকে ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকেও একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে পোস্ট করা হয়েছে। তাতে লেখা, ৭ই অক্টোবর আপনার চোখ কোথায় ছিল? ওই ছবিতে দেখা যায়, একজন হামাস যোদ্ধা এক শিশুর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। সম্প্রতি ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার রাফার একটি শরণার্থী শিবিরে শিশুসহ অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালত ইসরায়েলকে রাফায় তার অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরেই এই হামলার ঘটনা। এই হামলার পরেই আন্তর্জাতিক ক্ষোভের মুখে পড়েছে ইসরায়েল।
এই হামলার পরেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা বিশ্ব। প্রথমে ইসরায়েলি সেনাদের দাবি ছিল, তারা জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল অভিযান চালিয়েছে। তবে সমালোচনার মুখে পড়তেই ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতনিয়াহু।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ইসরায়েলকে। এমনকি মিত্র দেশ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। গত সপ্তাহে রাফায় হামলা বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক আদালত। তা সত্ত্বেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, আশ্রয়শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৮১ হাজারের বেশি। এ ছাড়া নিজেদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ।
Leave a Reply