আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : সকাল ৯:৩৮

বার : শনিবার

ঋতু : বর্ষাকাল

যে কারণে সকালে উঠেই কিশমিশ ভেজানো পানি খাবেন।

শুকনো ফলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কিশমিশ। আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা কিশমিশের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।মিষ্টান্ন খাবারে কিংবা রান্নায় কিশমিশ দিলে খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। অনেকে আবার এমনিতেও কিশমিশ খান। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রান্নায় দিয়ে কিংবা শুধু খাওয়ার বদলে কিশমিশ ভিজিয়ে খেতে পারলে এবং কিশমিশ ভেজানো পানি খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

অনেকেই সারারাত বাদাম, কিশমিশ ভিজিয়ে সকালে তা খাওয়ার পর ভেজানো পানিটা ফেলে দেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই পানির পুষ্টিগুণ কিন্তু কম নয়। সকালে ডিটক্স পানীয় হিসাবে কিশমিশ ভেজানো পানি খাওয়া যায়।কারণ, সারা রাত ভেজার পর ওই পানির মধ্যে কিশমিশের যাবতীয় উপাদান দ্রবীভূত হয়ে যায়। তাই কিশমিশ ভেজানো পানি ফেলে দেওয়ার কোনও মানেই হয় না। এই পানীয় ঠিক কী কী উপকারে লাগে তা এখানে দেওয়া হল,

১) কিশমিশ ভেজানো পানিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ যথেষ্ট থাকে। ফ্রি র‌্যাডিক্যালের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে এই পানীয়। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতেও সাহায্য করে।২) রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কিশমিশ ভেজানো পানি। কারণ, এই পানীয়ের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। রক্তে আয়রনের অভাব হলে নিয়মিত কিশমিশ ভেজানো জল খাওয়া যেতে পারে।

৩) অন্ত্র ভাল রাখতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে ফাইবার প্রয়োজন। কিশমিশের মধ্যে থাকা ফাইবার সহজপাচ্য হয়ে ওঠে পানিতে ভিজলে। সেই পানি নিয়মিত খেলে পেট ভাল থাকে।

৪) অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, ঘরে-বাইরে নানা রকম মানসিক চাপ থেকে প্রতিদিন শরীরে টক্সিন জমা হতে থাকে। কিশমিশে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, পলিফেনল এই টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

৫) শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে কিশমিশ। নারীদের মধ্যে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা যায় বেশি। পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা তৈরি না হলে, রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা যায়। কিশমিশ ভেজানো পানি এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে। স্বাভাবিক ভাবেই লোহিত কণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে কিশমিশ।

https://www.deshrupantor.com/509673

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category