আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : সকাল ৮:৩৭

বার : শনিবার

ঋতু : বর্ষাকাল

শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি রোববার

আগামী রোববার ভারতের নতুন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, শরিকদের হাত ধরেই জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে এবার মোদিকে।

এদিকে একা শাসন করতে অভ্যস্ত মোদির জন্য শরিকদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাজনীতি করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মত বিশ্লেষকদের।

গত এক দশক ধরে ভারতের ক্ষমতার গোদিতে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ও তার ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার লক্ষ্য থাকলেও, তা ফিকে হয়ে যায় চূড়ান্ত ফলাফলে। বরং দেখা যায় কংগ্রেসের চমক।

জোট সরকার গঠন নিয়ে ফলাফলের দিন থেকে বুধবার সারাদিন নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর লিখিত সমর্থন নিয়ে শেষ হাসি হাসেন নরেন্দ্র মোদি।

পরে এনডিএ’র দলনেতা নির্বাচিত করা হয় মোদিকে। শুক্রবার মোদিকে এনডিএ-র সংসদীয় দলনেতা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

এরপরই মোদির জন্য শুভেচ্ছা বার্তা আসতে শুরু হয় বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে।

সব ঠিক থাকলে আগামী শনিবার টানা তৃতীয় দফায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এরইমধ্যে তার শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, ভুটান ও নেপালের রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশ নিবেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

এদিকে বিজেপি যেখানে হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি বা ধর্মভিত্তিক রাজনীতিতে অভ্যস্ত, অন্যদিকে নিতিশের জেডি (ইউ) ও নাইডুর টিডিপি দুই দলই নিজেদের দাবি করে ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে। মুসলিম ভোটারদের সমর্থনের উপর নির্ভর করে এই দুই দল।

সেক্ষেত্রে গত ১০ বছর কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনায় ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহারে অভ্যস্ত মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এবার শুনতে হবে অন্যদের মতামতও। কারণ জোট সরকার ছাড়া আর কোন পথ ছিল না মোদির। তাই অন্যদের মতামতকে অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই।

বিশ্লেষকদের মতে, এভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা মোদির নেই। গত তিন দশকে তিনি তিনবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং দুবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে একরকম একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে কাজ করেছেন। এখন হুট করে সমন্বয় করে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাজনীতি করা তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এই নতুন কাজের ধরন তিনি কতটা গ্রহণ করতে পারবেন, তার ওপরেই এই সরকারের স্থায়িত্ব নির্ভর করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category