আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : দুপুর ২:৩১

বার : শনিবার

ঋতু : বর্ষাকাল

ক্রোক বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হলো বেনজীরের সাভানা ইকোপার্কে।

গোপালগঞ্জে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো পার্কে ক্রোক বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে আজ সোমবার দুপুরে একটি প্রতিনিধি দলটি পার্কটি পরিদর্শনের পর বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেয়।

সাভানা পার্ক পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দায়েরকৃত মামলার স্পেশাল জজের দায়ের প্রেক্ষিতে সাভানা ইকো রিসোর্টের যাবতীয় কৃষিজমি, পুকুর জলাশয়সহ যা আছে তার সব ক্রোক করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমির) সহযোগিতায় আমরা এই ক্রোম আদেশটি জারি করেছি। জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি দেখতে এসেছি, যে জায়গাটায় আমি সহযোগিতা দেব, সেই জায়গাটি ঘুরে দেখলাম। কী কী সুযোগ সুবিধা আছে তার ধারণা অর্জন করলাম। এটা শুধু ক্রোক নয়, এটা রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এই রিসোর্টকে সচল করব। এখানে ফলগাছ, পুকুর, কটেজ ও বিভিন্ন রাইড রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে কীভাবে এইসব ব্যবহার উপযোগী করা যায় এবং মানুষ এসে এখানে চিত্তবিনোদন করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অচিরেই এই পার্কটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

আদালতের নির্দেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জে করা সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে রিসিভার নিয়োগ প্রাপ্তির পরে পার্ক পরিদর্শনে করেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে দুদক এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল।সোমবার দুপুরে এই প্রতিনিধি দলটি পার্কটির ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)ফারহানা জাহান উপমা, দুদক গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহসিন উদ্দীন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন নন্দী, কৃশি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) সনজয় কুমার কুন্ড, সহকারী কমিশনার মো. সেবগাতুল্যাহ, রোন্টি পোদ্দার, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য অফিসার সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগানসহ সরকারি অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা।

পরে দুদকের গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান পার্কের ফটকের সামনে একটি ক্রোক বিজ্ঞপ্তি টাঙ্গিয়ে দেন। এই বিজ্ঞপ্তিতে সাভানা পার্কের কী কী মালামাল ক্রোক করা হয়েছে তা লিপিবদ্ধ রয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের দুদকের দুইটি দল পার্কে অবস্থান নেয়। পরে পার্কের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয়। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে পার্কের প্রধান ফটকের সামনে মাইকিং করে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ বাবলী শবনম। এর ফলে পরের দিন শনিবার থেকে পার্কটি গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর এই দুই জেলার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় চলবে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে প্রায় ৬২১ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন পার্কটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category