বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফেরারি আসামি নির্বাচনে অযোগ্য, ‘না ভোট’ বাধ্যতামূলক!! “ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে “ বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র: ‘আমরা কোনো দলের নয়’ — স্পষ্ট বার্তা দিলেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বিজয়নগরে জাপা কার্যালয়ে সংঘর্ষ : ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহত বহু, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা-পুলিশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত রোডম্যাপ পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বিএনপির বৈঠক ১৩ বছর পর উপদেষ্টা মাহফুজের বাবা ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি বিদেশে বাংলাদেশি মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ, ‘জিরো পোর্ট্রেট’ নীতি কার্যকর সাদা সোনার লুটেরা: ভোলাগঞ্জের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশ

ইডিএফ সংকট রপ্তানি খাতে

bornomalanews
  • Update Time : শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৯৬ Time View

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ বিতরণ কমিয়ে দেওয়ায় বড় অঙ্কের এলসি খুলতে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। মঙ্গলবার যুগান্তরের খবরে প্রকাশ-একদিকে ডলার সংকটের কারণে উদ্যোক্তারা নতুন এলসি খুলতে ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত ডলারের জোগান পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ইডিএফ থেকেও ব্যাংকগুলোর নতুন ঋণের জোগান চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রপ্তানি খাতে বড় অঙ্কের এলসি খুলতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ডলারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে কাঁচামাল আমদানিতে বিলম্ব ঘটছে। সংশ্লিষ্ট এলসির বিপরীতে রপ্তানিতেও দেরি হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রপ্তানি খাতে।

জানা গেছে, করোনার সময় রপ্তানি খাতকে উৎসাহিত করতে তহবিলের আকার বাড়িয়ে ৭০০ কোটি ডলার করা হয়। একইসঙ্গে সুদের হার কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এতে রপ্তানিকারকরা এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে সহজে এবং কম সুদে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণের জোগান পেতেন। ফলে দ্রুত এলসি খুলে কম সময়ের মধ্যে পণ্য আমদানি করে রপ্তানি করতে পারতেন। কিন্তু গত বছরের গোড়ার দিকে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির সময় তারা রিজার্ভ থেকে ডলার নিয়ে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা অর্থ বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করার শর্ত আরোপ করে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইডিএফ তহবিলের আকার ছোট করার সিদ্ধান্ত নেয়। একদিকে সুদের হার বৃদ্ধি, অন্যদিকে তহবিল থেকে ঋণের জোগান কমিয়ে দেওয়ায় রপ্তানিকারকদের খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি ডলার প্রাপ্তিতেও সমস্যা হচ্ছে।

দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই রপ্তানি খাত নিরুৎসাহিত হয় এমন সিদ্ধান্ত কাঙ্ক্ষিত নয়। আগে ব্যাংক নিজস্ব উৎস থেকে ডলারের জোগান দিয়ে দ্রুত এলসি খুলত; পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল থেকে সমপরিমাণ ডলার ঋণ হিসাবে নিয়ে নিত। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে এ নিয়ম থেকে সরে আসে ব্যাংকগুলো। নির্ভরশীলতা বাড়ে ইডিএফ তহবিলের ওপর। কিন্তু তহবিল ছোট করে ফেলায় রপ্তানিকারকদের জন্য সংকট আরও বেড়েছে। এক্ষেত্রে ঋণের সুদ বৃদ্ধি কিংবা তহবিল হ্রাস নয়, বরং রপ্তানির নামে অর্থ পাচারের মতো যেসব অপচেষ্টা ডলার সংকটের জন্য দায়ী, তা নিরসনে কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আকার বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ বিতরণ হ্রাসের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে, এটাই প্রত্যাশা।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102