ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। শুক্রবার সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এবং অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে যে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও গৌরবময় ঐতিহ্যকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সাদা দলের নেতারা মনে করেন, নির্বাচনে যেসব ক্ষেত্রে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে সেসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবিলম্বে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। অভিযোগগুলোকে খণ্ডন বা প্রমাণ করা প্রশাসনের দায়িত্ব। এ জন্য প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে-বাইরের সদস্যদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। যদি তদন্তে জালিয়াতি ও অনিয়মের প্রমাণ মেলে, তবে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে বর্তমান ফলাফল স্থগিত করে নতুন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় ডাকসু নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। সাদা দল আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, যথাযথ তদন্ত ও কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ২০২৫ সালের ডাকসু নির্বাচন ঢাবি শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণের একটি প্রহসনমূলক ও কলঙ্কিত নির্বাচন হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হবে। শিক্ষকদের এই সংগঠন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ফ্যাসিবাদের সময়ে যেভাবে অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করা হয়েছিল, ঠিক তেমনি এই অভিযোগগুলো উপেক্ষা করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ভয়াবহভাবে ক্ষুণ্ণ হবে।