শেষ ওভারের সমীকরণে ম্যাচ জমে উঠলেও আসলে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ ছিল ভারতের হাতেই। ৬ বলে ১০ রানের দরকার—এই পরিস্থিতি যে ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে একধরনের উত্তেজনা তৈরি করেছিল, তা সত্যি। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসী শট খেলায় সেই উত্তেজনা কেবলমাত্র কাগজে-কলমেই রয়ে গেল। হারিস রউফকে কোনো মুন্সীয়ানা দেখাতে দিল না তারা, উল্টো তাকে পরিণত করল অসহায় বোলারে। দুই বল হাতে রেখেই ভারত সহজ জয় নিশ্চিত করে এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তোলে। পাকিস্তানের হারের গল্প শুরু হয়েছিল আসলে আরও আগেই। টস জিতে ব্যাট হাতে নামলেও দলটা যেন দায়িত্ব ভুলে বসেছিল। ২০ ওভারও খেলতে পারেনি বাবর আজমের দল, ১৮ ওভারেই গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪৬ রানে। বড় মঞ্চে এত বড় ভাঙন পাকিস্তান সমর্থকদের হতাশ করেছে বৈকি। ভারতের রান তাড়া করার শুরুটা অবশ্য ঝকঝকে ছিল না। শুরুতেই কিছুটা চাপে পড়ে দল। কিন্তু মঞ্চে নামেন তিলক ভার্মা। তার কার্যকর ব্যাটিং, অর্ধশতক ছোঁয়া ইনিংসই আসলে ম্যাচের গতিপথ ঘুরিয়ে দেয়। পাকিস্তানি বোলারদের সামনে তার ব্যাট হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। তিনি শুধু রানই করেননি, দলের আত্মবিশ্বাসও ফিরিয়ে দিয়েছেন। এরপর সঞ্জু স্যামসন আর শিবম দুবে ছোট ছোট ইনিংসে সঠিক সময়ে অবদান রাখেন। লো-স্কোরিং ম্যাচে তাদের রান ভারতের পথ সহজ করে তোলে। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ বোলাররা তখন পুরোপুরি দিশেহারা, কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসেনি। শেষ ওভারে থ্রিলের আভাস পাওয়া গেলেও সেটি টিকল না। বরং ভারতের ব্যাটাররা এমন ভঙ্গিতে খেলা শেষ করল যেন অনুশীলনের আরেকটি সেশন। পাঁচ উইকেটে জিতে পাকিস্তানকে লজ্জা দিয়েই চ্যাম্পিয়ন হলো সূর্যকুমার যাদবের দল। ফাইনালে পৌঁছেও পাকিস্তান তাদের পুরোনো ভুল থেকে বেরোতে পারল না। এশিয়া কাপের মঞ্চে এবারও তারা ব্যর্থতার গল্প লিখল, আর ভারত লিখল আত্মবিশ্বাসী জয়ের ইতিহাস।