লা লিগার উত্তেজনাপূর্ণ রাতে বার্সেলোনা আবারও প্রমাণ করল—ফুটবল শুধুই কৌশলের খেলা নয়, অপ্রত্যাশিত মুহূর্তও বদলে দিতে পারে ম্যাচের ফল। শনিবার জিরোনার বিপক্ষে গোলশূন্য দুর্বিষহ লড়াইয়ে যখন সময় গড়িয়ে যাচ্ছিল, তখন নায়ক হয়ে উঠলেন এক ডিফেন্ডার—রোনাল্ড আরাউহো। যোগ করা সময়ে তার চমকপ্রদ ফিনিশিংয়ে জয় নিশ্চিত করলো বার্সা, ফিরলো স্বস্তির হাসি কাতালান শিবিরে। ম্যাচের ৮২তম মিনিটে রক্ষণভাগের এই উরুগুইয়ানকে মাঠে নামান কোচ হান্সি ফ্লিক। তখন বার্সার মূল আক্রমণভাগে ছিলেন না লেভানদোভস্কি, ফেররান তোরেস কিংবা রাফিনিয়া। গোলের আশায় তাই কৌশল বদলান কোচ, আরাউহোকে পাঠান স্ট্রাইকারের ভূমিকায়। মাঠে নামার আগে ফ্লিক তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কি পারবে?’ আত্মবিশ্বাসী আরাউহো বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ।’ ম্যাচশেষে কোচের মুখে শোনা গেল তার প্রশংসা—“অনুশীলনেও গোলমুখে ও দারুণ। আজ বড় কিছু করবে, এটা বিশ্বাস ছিল আমার।” সেই বিশ্বাসকে সত্যি করলেন আরাউহো। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের নিচু কাটব্যাকে দুর্দান্ত এক স্লাইডে বল পাঠালেন জালে। উল্লাসে ফেটে পড়ে বার্সা ডাগআউট, দর্শকরা যেন পেয়ে গেল নতুন এক নায়ককে। ম্যাচশেষে আরাউহোর মুখে হাসি—“সবাই জানে, আমি ছোটবেলায় স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতাম। যদি এখনও স্ট্রাইকার হতাম, আরও গোল করতাম!” মাঠে নামার আগে সতীর্থদের মজা করে বলেছিলেন, ‘আমি গোল করব।’ গোল করার পর সবাই চমকে গিয়েছিল—এটাই যেন ফুটবলের রূপকথা। এই নাটকীয় জয়ের সুবাদে বার্সেলোনা পেল গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এল ক্লাসিকোর মতো বড় চ্যালেঞ্জ। আরাউহোর আত্মবিশ্বাস আর দলের এই জয় নিঃসন্দেহে নতুন করে জাগিয়ে তুলবে কাতালানদের। জয়ের হাসি নিয়ে বার্সা এখন তাকিয়ে সামনের পথের দিকে।