চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আবারও মুখ থুবড়ে পড়ল। সিরিজের শেষ ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫ উইকেটে হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল স্বাগতিকরা। পুরো সিরিজজুড়েই ব্যাটিং ব্যর্থতায় জর্জরিত বাংলাদেশ শেষ ম্যাচেও সান্ত্বনার জয় পেল না, বরং ব্যর্থতার চক্রে ঘুরপাক খেল আরও একবার। এদিন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুতে পরিবর্তনের আভাস ছিল। একাদশে চারটি বড় পরিবর্তন এনে মাঠে নামে দলটি। ওপেনিংয়ে ফেরানো হয় তরুণ পারভেজ হোসেন ইমনকে, তবে তিনি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২২ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর অধিনায়ক লিটন দাসও হতাশ করেন, মাত্র ৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনিও। তবে একপ্রান্তে অবিচল থেকেছেন তানজিদ হাসান তামিম। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৬২ বলে ৮৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথে তিনি স্পর্শ করেন বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ১০০০ টি-টোয়েন্টি রানের মাইলফলক। দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসানের (২৩) সঙ্গে ৬৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তানজিদ, যা কিছুটা স্বস্তি এনে দেয় স্বাগতিক শিবিরে। কিন্তু সাইফের বিদায়ের পরই শুরু হয় নাটকীয় ধস। মাত্র চার ওভারে চারটি উইকেট হারিয়ে রীতিমতো বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মিডল অর্ডার ব্যর্থতায় শেষ দিকে তানজিদের একার লড়াইও বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেনি। শেষ ওভারের প্রথম বলেই আউট হন তানজিদ, আর পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন শরিফুল। শেষদিকে তাসকিনের এক ছক্কায় ৪ বলে ৯ রান যোগ হলে দলীয় সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ১৫১ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলো কাড়েন রোমারিও শেফার্ড। হ্যাটট্রিকসহ ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি, যা ক্যারিবিয়ানদের ইতিহাসে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। পিয়েরে ও হোল্ডার পান ২টি করে উইকেট, একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন আকিল হোসেন ও রোস্টন চেজ। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হলেও, ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন রোস্টন চেস ও আকিম অগাস্তে। চেস ৫৭ ও অগাস্তে অপরাজিত ৫২ রান করেন, তাদের ফিফটিতে ভর করেই মাত্র ১৬.৫ ওভারেই জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন রিশাদ হোসেন, ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। তবে বাকিদের ব্যর্থতায় শেষ রক্ষা হয়নি। পুরো সিরিজ জুড়েই ব্যাটিং ব্যর্থতা ও অসংগঠিত বোলিংয়ের চিত্রই ছিল বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচেও সেই গল্পের পুনরাবৃত্তি। তানজিদের অসাধারণ ইনিংসটা তাই শুধুই ব্যক্তিগত সান্ত্বনা হয়ে থাকল, দলের জন্য নয়। উড়ন্ত ক্যারিবিয়ানদের সামনে হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ। আপনার চাহিদা অনুযায়ী হেডলাইনসহ বর্ণনামূলক, ইউনিক ও সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনের খসড়া এটি। প্রয়োজনে আরও সংযোজন বা সংশোধন করতে জানাবেন।