ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারের বরাতে দাবি করেছিলেন যে, হামলাকারীরা শিবিরের লোক। তবে ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী এই দাবিকে স্পষ্টভাবে মিথ্যা ও বোগাস দাবি হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, তিনি এমন কোনো বক্তব্য দেননি এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রিজভী তার উপর ভিত্তি করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি, বোগাস কথাবার্তা, ভুয়া। আমি এমন কোনো কথাবার্তা বলিনি।’ এর আগে, হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আগে নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে রিজভী এই বক্তব্য দেন। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ কমিশনার হত্যাকারীকে শনাক্ত করে বলেছেন যে তারা শিবিরের লোক; এটিও কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্য নয়, বরং তদন্তকারী কর্মকর্তাদের মতামত। রিজভী আরও বলেন, ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মির্জা আব্বাসকে ‘গ্যাংস্টার’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, যা তিনি অবিলম্বে প্রত্যাখ্যান করেন। রিজভী দাবি করেন, হামলাকারী পূর্বে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন বিতর্কিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তিনি এটিকে একটি ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে এই হামলার বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন। ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং মব কালচারের নির্মাণের অভিযোগ তুলে রিজভী বলেছেন, এই ধরনের ঘটনায় দেশের গণতন্ত্র ও সামাজিক শান্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং অবিলম্বে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলো সতর্ক থাকার পাশাপাশি দ্রুত সত্য উদঘাটনে মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিয়েছে।