তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন: একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা ও ভবিষ্যতের জন্য দৃঢ় পরিকল্পনা ১৭ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দেশে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন। ঢাকার তিনশ ফুট সংবর্ধনা মঞ্চে লাখো সমর্থকের উচ্ছ্বাসের মাঝে তিনি তার দীর্ঘ দিনের নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে বললেন, ‘আই হ্যাভ আ প্ল্যান’ — যার মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ার একটি সুপরিকল্পিত রূপরেখা হাতে নিয়েছেন। যদিও পরিকল্পনার বিস্তারিত প্রকাশ করেননি, তবু দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে তার এই প্রত্যয় দেশের রাজনৈতিক মহলে নতুন আলো ও প্রত্যাশার সঞ্চার করেছে। তারেক রহমানের ভাষণে বিশেষ এক মনোমুগ্ধকর মুহূর্ত ছিল যখন তিনি ৬২ বছর আগে মার্কিন বর্ণবৈষম্যবিরোধী নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের ঐতিহাসিক ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ ভাষণের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। এই ঐতিহাসিক উদ্ধৃতির মাধ্যমে তিনি দেশের মানুষের সামনে একটি সুদূরপ্রসারী স্বপ্ন এবং পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন, যা মূলত দেশের শান্তি, উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের প্রতি অটল সংকল্পের পরিচায়ক। দেশে ফিরে প্রথম ভাষণে তারেক রহমান স্পষ্ট করে বললেন, দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাই তার প্রধান অগ্রাধিকার। ধর্ম, জাতি, বর্ণ, শ্রেণি বা রাজনৈতিক মতভেদের পার্থক্য ভুলে দেশের প্রতিটি মানুষ যেন নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে, সেজন্য সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন। তিনি বলেন, “আমাদের যেকোনো মূল্যে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে, বিশৃঙ্খলা পরিত্যাগ করতে হবে, যাতে শিশু থেকে শুরু করে নারীমহিলা এবং সর্বস্তরের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারে।” তার পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নের জন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চাইবেন বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যে যেকোনো উদ্যোগ নিতে হবে, সেটি বাস্তবায়নে দেশের জনগণের ঐক্য ও সমর্থন অপরিহার্য। এই যাত্রায় তিনি গণতন্ত্রের শক্তিকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন এবং দেশের ভবিষ্যত নির্মাণে সকলের ঐকান্তিক অংশগ্রহণ কামনা করছেন। তারেক রহমান দেশ পরিচালনায় নবী করিম (সা.) এর ন্যায়পরায়ণতার আদর্শ অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ন্যায়পরায়ণতা ও সততার ভিত্তিতে দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করতে চাই, যা দেশের মানুষের জীবনে সুষ্ঠু ও দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আনবে। সর্বোপরি, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন কেবল একজন রাজনৈতিক নেতার ফিরে আসাই নয়, বরং এটি একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায় এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য নতুন পরিকল্পনা ও প্রত্যয়ের সূচনা। তার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও দেশের শান্তি ও উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা এককভাবে দেশের জন্য ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্তটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে ধরা হচ্ছে, যা আগামী দিনের জন্য এক শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলবে।