আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সফলভাবে আয়োজনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে। এই আয়োজনের অংশ হিসেবে, হাইব্রিড মডেলের আওতায় ফাইনালসহ পাঁচটি ম্যাচ আয়োজনের জন্য আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকেও (ইসিবি) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে ভারত, যা তাদের জন্য তৃতীয়বারের মতো এই গৌরবময় অর্জন। এর আগে, ২০০২ এবং ২০১৩ সালে তারা এই ট্রফি জিতেছিল, তবে ২০০২ সালে তারা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্মানও পেয়েছিল।
পাকিস্তানের জন্য এই টুর্নামেন্টটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করেছিল, যদিও ভারতীয় দলের অংশগ্রহণ নিয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে তারা পাকিস্তানের মাটিতে খেলবে না, যা পাকিস্তানে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করে সমস্যার সমাধান করা হয়। এই মডেলের মাধ্যমে, পাকিস্তানকে আয়োজক হিসেবে রেখে ভারত সব ম্যাচ খেলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। এবং ফলস্বরূপ, ভারত সফলভাবে শিরোপা জিতেছে।
১৯৯৬ সালের পর, পাকিস্তান এবারই প্রথম বৈশ্বিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল। দেশটির তিনটি ভেন্যু—করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে মোট ১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি ম্যাচ হয়েছে দুবাইয়ে।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী (সিইও) জিওফ অ্যালারডাইস এই সফল আয়োজনের জন্য পিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, “চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সফলভাবে আয়োজনের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে অভিনন্দন জানাতে চাই। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম দেশটিতে বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হলো। পিসিবির জন্য এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কার, খেলার মাঠ প্রস্তুতকরণ, ম্যাচ পরিচালনা এবং দলগুলোকে আতিথেয়তা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি ছিল না। এজন্য পিসিবি গর্বিত হতে পারে। এছাড়া, সহায়তার জন্য আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
এইভাবে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজন শুধু ক্রিকেটের জন্য নয়, বরং পাকিস্তানের জন্যও একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।