মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির ফলে চীনা ই-টেইলার টেমু তাদের পণ্যে বিশাল পরিমাণ আমদানি চার্জ যুক্ত করতে শুরু করেছে। শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়া এই অতিরিক্ত চার্জের ফলে গ্রাহকদের জন্য পণ্যের দাম অত্যধিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পণ্যের দাম আমদানি চার্জের চেয়ে কম, এমনকি কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাচ্ছে। বিশ্লেষণ অনুযায়ী, টেমুতে ১৮.৪৭ ডলারে বিক্রি হওয়া একটি গ্রীষ্মকালীন পোশাকের ওপর ২৬.২১ ডলার আমদানি চার্জ যুক্ত হলে মোট দাম দাঁড়াচ্ছে ৪৪.৬৮ ডলার। শিশুর জন্য ১২.৪৪ ডলারের গোসলের স্যুটের দাম ১৮.৬৮ ডলার আমদানি চার্জের পর ৩১.১২ ডলারে পৌঁছাচ্ছে। এর পাশাপাশি, ১৬.৯৩ ডলারের একটি হ্যান্ডহেল্ড ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের দামও ২১.৬৮ ডলার আমদানি চার্জ যুক্ত হওয়ার পর ৪০.১১ ডলারে দাঁড়াচ্ছে। টেমু তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই আমদানি চার্জ প্রযোজ্য। তারা সতর্ক করে দিয়েছে যে তালিকাভুক্ত মূল্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদত্ত প্রকৃত অর্থের প্রতিনিধিত্ব নাও করতে পারে। তবে এই বিষয়ে টেমুর প্রতিনিধিরা এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। এদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী ডিসকাউন্ট খুচরা বিক্রেতা শেইনও তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে, তবে তারা আমদানি চার্জ আরোপ করছে বলে মনে হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটি তাদের সাইটে একটি ব্যানার যুক্ত করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, “আপনার প্রদত্ত মূল্যের মধ্যে শুল্ক অন্তর্ভুক্ত,” এবং “ডেলিভারির সময় আপনাকে কখনও অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হবে না।” চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন এবং ২ মে থেকে ৮০০ ডলারের নিচে পণ্যের শুল্ক ছাড়ের ব্যবস্থা বাতিল করার ঘোষণাও দেন। এই ঘোষণার পর টেমু এবং শেইন তাদের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতির ফলে মার্কিন বাজারে চীনা পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে।