মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কনীতি নিয়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে দর-কষাকষি করা হবে, তবে যুক্তরাষ্ট্রকে চটানো হবে না। আলোচনার জন্য ৯০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সমাধান না হলে বাংলাদেশ আরও সময় চাইবে। বুধবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ৪৫তম পরামর্শক কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টা জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে, যা অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে সময় বাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততা (অ্যাংগেজমেন্ট) আরও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, শুল্কনীতির কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই যুক্তরাষ্ট্রকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতামূলক হতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফের ঋণের বিষয়ে সরকার খুব একটা চিন্তিত নয়। সামষ্টিক অর্থনীতিতে ইতোমধ্যে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তিনি জানান, করছাড় বা কর রেয়াতের দিন শেষ। আইএমএফের চাপ এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কারণে কোনো খাতে রেয়াত দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার পরিচালনা এবং রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য প্রতিটি খাতে কর আদায় নিশ্চিত করতে হবে। বাজেট প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন বাজেট হবে বাস্তবায়নযোগ্য এবং এতে কোনো প্রকার অতিরিক্ত প্রত্যাশার ফুলঝুড়ি থাকবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। এই বৈঠক থেকে উঠে আসা অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্যগুলো দেশের অর্থনৈতিক নীতিমালা ও বৈশ্বিক বাণিজ্যিক কৌশল নিয়ে সরকারের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।