চার মাসের মধ্যে ফের সার্ভার ‘বিপর্যয়ে’র কবলে পড়ল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ।
রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পরই ব্যাংকটির সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেয়।
ব্যাংকিং লেনদেনের শেষ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো লেনদেন করতে পারেননি ব্যাংকের গ্রাহকরা। এসময় বন্ধ ছিল ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এটিএম বুথের সেবাও।
ভোগান্তিতে পড়ে শেষ বেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ব্যাংকটিতে টাকা জমা দিতে পারেননি ফরিদা বেগম নামের একজন গ্রাহক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল পৌনে ১১টার সময়ে লাইনে দাঁড়াই টাকা জমা দিতে। ১১টায় কাউন্টারে টাকা জমা দেয়ার সময়ে বলা হয় অপেক্ষা করতে।”
কয়েকবার চেষ্টা করেও টাকা জমা দিতে না পেরে বেলা একটার দিকে মতিঝিল শাখা ছাড়েন তিনি।
ব্যাংকের মালিবাগ শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারেননি একজন গ্রাহক। শেষ দফায় বেলা ২টার সময়েও চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের জানানো হয় ‘র্সার্ভার ডাউন’ হয়েছে। কয়েকবার সচল হওয়ার সংকেত দিলেও লেনদেন নিষ্পত্তি করতে পারেনি ব্যাংক।
কয়েকজন বড় গ্রাহককে সন্ধ্যার পরও অনেক শাখায় অপেক্ষায় রাখা হয়। সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে সার্ভার সচল হলে টাকা জমা নেওয়া শুরু করে ব্যাংকটি। সন্ধ্যা ৭টায়ও টাকা জমা নিতে দেখা গেছে মালবাগ শাখার কর্মীদেরকে।
রাজধানীর একটি শাখার ব্যবস্থাপক বলেন, “সন্ধ্যার দিকে নেটওয়ার্ক পাই আমরা। যাদের জরুরি জমা ও বড় গ্রাহক, তারা ব্যাংকেই আছেন। আমরা একটি একটি করে জমা নিচ্ছি।”
রাতে ব্যাংকটির কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সার্ভার ডাউন হয়ে গিয়েছিল। বিকেলে তা চালু হয়েছে, এখন লেনদেন করা যাচ্ছে।”
আর ব্যাংকটির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, “সমস্যার সমাধান হয়েছে সোমবার যথারীতি লেনদেন করা যাবে। সব এটিএম বুথেও টাকা পাওয়া যাচ্ছে।”
এর আগে গত ২৭ জুন ব্যাংকটির সার্ভার বিপর্যয়ের কারণে বেলা ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল লেনদেন।
গত ৫ অগাস্টে সরকার পতনের পর এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা আলোচিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন ঘটে।
আগের গ্রুপটি থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকে ব্যাংকটির শেয়ার দরও বাড়ছে। সবশেষ দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসই’তে শীর্ষ দর বৃদ্ধির তালিকায় উঠে এসেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ।
‘ফ্লোর’ প্রাইস থাকা কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। সবশেষ শেয়ারটি হাতবদল হয় ৫৪ টাকা ৩০ পয়সায়।