শ্রমিক অসন্তোষ ও অস্থিরতার কারণে আগামী দুই মৌসুমে পোশাক রপ্তানির আদেশ ১০ থেকে ১৮ শতাংশ কমার আশঙ্কা করছেন শিল্প মালিকরা। চলমান সংকটকে সুবিধাভোগীগোষ্ঠীর ফায়দা হাসিলের পথ বলে মনে করছে বিজিএমইএ। তারা বলছে, এ সময়ে আগামী শীত মৌসুমের কার্যাদেশ পাওয়ার কথা। অস্থিরতা দীর্ঘায়িত হলে অনেক ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে বিকল্প উৎসের কথাও ভাবতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।এদিকে বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ভারতের। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের আগস্টে তাদের রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ শতাংশ। শুধু আগস্টেই তাদের আয় হয়েছে ১২৬ কোটি ডলার। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত রপ্তানি থেকে ভারতের আয় হয়েছে ৬৩৯ কোটি ডলার।এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশটির অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (এইপিসি) চেয়ারম্যান সুধীর সেকরি বলেন, ‘বাণিজ্যযুদ্ধ, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি লজিস্টিক খরচ ও মূল্যস্ফীতির মতো সমস্যাগুলোকে পাশ কাটিয়ে রপ্তানি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে ভারত। গত পাঁচ মাসে রপ্তানি গড়ে ৭.১২ শতাংশ হারে বেড়েছে। অথচ পণ্য রপ্তানির হার গত ১৩ মাসের মধ্যে আগস্টে সর্বনিম্ন ছিল।
এই ধারাবাহিকতা পোশাক খাতের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। তৈরি পোশাক খাত এখন উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে পা বাড়াতে প্রস্তুত। পরিবেশ ও সমাজের খেয়াল রাখার পাশাপাশি পণ্যের মান বাড়িয়ে বিশ্বে তৈরি পোশাক খাতের অন্যতম বড় শিল্প হতে যাচ্ছে ভারত।’
এইপিসির সেক্রেটারি জেনারেল মিথিলেশ্বর ঠাকুর বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই খাত উন্নতির ধারা অব্যাহত রেখেছে।
বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো যে ভারতের ওপর আস্থা বাড়াচ্ছে তা স্পষ্ট।আশা করছি, তৈরি পোশাক খাতের এই সুসময় আমরা ধরে রাখতে পারব। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জাপানে ৭.৭ শতাংশ, কোরিয়ায় ১৬.৮ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ১২.৫ শতাংশ, মরিশাসে ৬.৬ শতাংশ এবং নরওয়েতে ১৭.৩ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে।’ তৈরি পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি আরো বাড়াতে কাপড় আমদানির নিয়ম শিথিলের দাবি জানিয়েছে এইপিসি।